বিশ্বজুড়ে শত্রুদের হত্যার মিশনে ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর তার পূর্বসূরী গোল্ডা মেয়ারের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে যাচ্ছেন বলে খবর এসেছে। নেতানিয়াহু এমন এক মিশন অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবছেন- যার ফলে ইসরায়েলের বিশ্বজুড়ে তার শত্রুদের হত্যা করবে। খবর এনডিটিভির।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে এই কাজ পুরোপুরি সফলের দায়িত্ব দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে মোসাদ তুরস্ক, লেবানন এবং কাতারে উচ্চ-পর্যায়ের লক্ষ্যবস্তুদের খতম করার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করছে।
তবে এমন অভিযান নিয়ে সতর্ক প্রকাশ করেছেন মোসাদের সাবেক পরিচালক ইফরাইম হালেভি। এমন অভিযানের ফলে অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, বিশ্বজুড়ে হামাস টার্গেট নির্মূল করলে ইসরায়েলের প্রতি হুমকি দূর হবে না।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী যেসব হামাস নেতাকে নির্মূল করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে- তার মধ্যে অন্যতম একজন হচ্ছেন হানিয়ে (৬০)। তিনি ফিলিস্তিনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ২০১৭ সালে তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। হানিয়ে এখন নির্বাসনে আছেন। তাকে কাতার এবং তুরস্কে দেখা গেছে।
মোসাদের টার্গেটে আরেকজন হচ্ছেন মোহামেদ দেইফ। তিনি হামাসের মিলিটারি উইং আল-কাশেম ব্রিগেডের প্রধান। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ অন্তত ছয়বার তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তিনি ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকাতেও আছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
আল-কাশেম ব্রিগেডসের একজন সাবেক কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ারকেও খুঁজছেন ইসরায়েল। সিনওয়ার ২০১৭ সালে গাজায় হামাসের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে ইসরায়েলি জেলে তিনি ২৩ বছর বন্দী ছিলেন।
মোসাদ যে আরেকজনকে নির্মূল করতে চাচ্ছেন তিনি হলেন খালেদ মাশাল। তিনি হামাস পলিটব্যুরোর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ২০১৭ সাল পর্যন্ত এর চেয়ারম্যান ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এখন কাতারে আছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস