আদালতে ককটেল বিস্ফোরণ, দোষ স্বীকার করে নারীর জবানবন্দি
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন জনি তিন দিনের রিমান্ড শেষে পুতুলকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
গ্রেপ্তারের পর গত সোমবার পুতুলকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বিল্লাল হোসাইন জনি সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২০ নভেম্বর রাতেই কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ কামরুল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞানতামাদের আসামি করে এ মামলা করেছেন। পরদিন মামলার এজাহার আদালতে আসলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত তা গ্রহণ করে আগামী ৫ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের দিন ঠিক করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২০ নভেম্বর বিকেল ৩টা ৫২ মিনিটে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় অজ্ঞাতনামা নাশকতাকারীরা। উপস্থিত আইনজীবীদের ও আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের জীবন ও সম্পত্তি বিপন্ন অথবা গুরুতর ক্ষতিসাধনের জন্য ককটেল বিস্ফোরণ করে তারা। এতে আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীসহ বিভিন্ন লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং আদালতের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়াসহ আদালতের বিচার কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বোরকা পরিহিত এক নারী ও এক পুরুষ মহানগর দায়রা জজ আদালতের চারতলা থেকে ককটেল নিচে ফেলেন। এরপর তারা দ্রুত আদালত চত্বর থেকে চলে যান।
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি