প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে জাপানের চেরি গাছ রোপণ
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জে জাপানের চেরি গাছ রোপণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জাপানের রাষ্ট্রদূত ও নারুতো নগরীর ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল নারায়ণগঞ্জ নগরী সফর করেন।
প্রতিনিধি দলের মধ্যে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমোনরি, নারুতো নগরীর ম্যানেজিং সুপারভাইজার কেনজি কোইজুমি, আদজী ইপিজেডের রপ্তানিমুখী জাপানি মালিকানাধীন নিট গার্মেন্ট মারুহিসা কোং লিমিটেডের চেয়ারম্যান কিমিনবু হিরাইশিসহ নারুতো নগরীর কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলটি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ লেক, ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ দুর্গ, আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তন পরিদর্শন করেন এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
পরবর্তীতে অতিথিরা শেখ রাসেল নগর পার্ক পরিদর্শন ও মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করেন। এরপর নগর ভবন প্রাঙ্গণে জাপানের জাতীয় ফুল হিসেবে পরিচিত ‘চেরি’ বা ‘সাকুরা’ ফুল গাছ রোপণ করেন। তিন প্রজাতির মোট ২৯টি চেরি গাছ (ইয়োকো প্রজাতির ১০টি, কানহি প্রজাতির ৯টি এবং মিয়াবি প্রজাতির ১০টি) রোপণ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ নগরীর পক্ষে নাসিক মেয়র, কাউন্সিলর, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদ এবং কলরব কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ৫ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ১৮টি চেরি গাছ রোপণ করেন। অপরদিকে জাপানের পক্ষে রাষ্ট্রদূত, নারুতো নগরীর প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরাসহ মোট ১১টি চেরি গাছ রোপণ করেন।
জাপানের ঐতিহ্যবাহী চেরি গাছ রোপণ সমাপ্তির পর নগর ভবনের সামনে নারায়ণগঞ্জ-নারুতো ফ্রেন্ডশিপ সিটির নিদর্শনস্বরূপ ‘নারায়ণগঞ্জ-নারুতো মৈত্রী বিপণী’ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।
পরবর্তীতে নগর ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় নারায়ণগঞ্জ নগরীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। এরপর কাইকম সল্যুশন লি. ও বাংলাদেশ বিমান এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ফলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘মুসুবু জাপানি ভাষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ এর শিক্ষার্থীরা জাপান যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমান ভাড়ায় ২০ শতাংশ ছাড়ের সুবিধা উপভোগ করবে।
পরিশেষে জাপানি প্রতিনিধি দল মুসুবু জাপানি ভাষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। তাঁদের সফরকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল আজিজ, নগর পরিকল্পনাবিদ মো. মঈনুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজগর হোসেন ও মো. ইসমাইল চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা পরিদর্শন দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
