৩৯ বন্দীর মুক্তি, ফিলিস্তিনে উৎসব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:৩১
শেয়ার :
৩৯ বন্দীর মুক্তি, ফিলিস্তিনে উৎসব

চারদিনের যুদ্ধবিরতির প্রথমদিনে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ৩৯ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এতে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এক প্রকার উৎসব শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪ নারী ও ১৫ কিশোরকে বেইতুনিয়া চেকপয়েন্টের কাছে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার পর বিপুল সংখ্যক মানুষ উল্লাস করে তাদের শুভেচ্ছা জানায়। 

মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে ২০১৫ সালে ১৬ বছর বয়সে আটক হওয়া মারাহ বাকিরও আছেন। সীমান্তে পুলিশ কর্মকর্তার ওপর ছুঁড়ি-হামলার দায়ে তার সাড়ে আট বছরের জেল দেওয়া হয়েছিল।

অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বাকির বলেছেন, ‘বহু মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এই চুক্তি হয়েছে, যা তাদের কাছে অস্বস্তিকর এবং এটি তাদের খুশী করেনি।’  

তিনি জানান, আটক থাকার সময় বাইরের অবস্থা সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা ছিলো না এবং গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কেও তার কোণ ধারণা নেই। চুক্তির খবরটি ছিল অবাক করে দেওয়ার মতো বিষয়।

হামাসের দেওয়া ৩০০ নারী ও শিশুর একটি তালিকা থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের নাম চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল। ওই তালিকার এক চতুর্থাংশেরও কম ব্যক্তির সাজা দেওয়া হয়েছিল। বাকীরা বিভিন্ন অভিযোগে রিমান্ডে বিচারের অপেক্ষায় । তবে ওই তালিকার ৪০ ভাগেরই বয়স ১৮ বছরের কম। এছাড়া একজন কিশোরী ও ৩২ জন নারী আছে।

রামাল্লাহর কাছে বেইতুনিয়া চেকপয়েন্টের রাস্তায় ইসরায়েলের সেনাদের সামনে পড়েছিল একদল ফিলিস্তিনি মানুষ। সেনারা রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের পেছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। 

তরুণদের কেউ কেউ ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছিল ও টিয়ারশেল গুলো পাল্টা নিক্ষেপের চেষ্টা করছিল।

মোহাম্মেদ খাতিব নামের এক ব্যক্তি বলেছেন, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখা ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার যে প্রত্যাশা তার একটি লক্ষণ এটি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তি পাওয়া বন্দীদের নিয়ে বাস যখন তাদের কাছে এসে পৌঁছায় তখন সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। জানালা দিয়ে দেখা যায়, যে কয়েকজন বন্দী নাচছেন। একজন ফিলিস্তিনের পতাকা গায়ে জড়িয়ে রেখেছিলেন। শ্লোগানে মুখরিত মানুষের মুখে ছিল, ‘আল্লাহ মহান’ ধ্বনি।

অল্প কয়েকজন হামাসের পতাকা নাড়াচ্ছিলেন। তবে অন্যরা ফিলিস্তিনি ঐক্যের কথা বলেছেন। পুরো বিষয়টা ছিল ‘যুদ্ধের বিভীষিকার মধ্যে বিজয়ের একটি মুহূর্ত।