জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট চাই: এ টি এম আজহারুল

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
২২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৪
শেয়ার :
জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট চাই: এ টি এম আজহারুল

জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট চান বলে জানিয়েছেন রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম।

শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে বদরগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।

আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগেই চাই গণভোট। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো সবাই স্বাক্ষর করেছি, গণভোটে আমরা সবাই রাজি হয়েছি, তাহলে কেন গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হবে না এবং করলে সমস্যাটা কি? আমাদের দাবি এখনও থাকবে জাতীয় নির্বাচনের আগেই যেন গণভোট করা হয়।’

তিনি ‍আরও বলেন, ‘সাড়ে তিন চার মাস ধরে বদরগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি। সব জায়গায় ভালো সাড়া পাচ্ছি এবং নারীদের সবচেয়ে বেশি সাড়া পাবো ইনশাল্লাহ। অনেক সংস্কার করেছি।যেহেতু আমি জনগণের জন্য নির্যাতিত ছিলাম এজন্যই তারা আমাকে ভোট দেবে।’

ভোটের পরিবেশ অত্যন্ত অনুকূলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি সর্বস্তরের লোকদের সমর্থন পাচ্ছি। যেহেতু তরুণ প্রজন্ম একটা বিপ্লব করে সরকারকে হঠিয়েছে এখানে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ অনেকটা বেশি। তরুণ যুব বৃদ্ধ মহিলা এবং অমুসলিমদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এবং ভোটের পরিবেশ অত্যন্ত অনুকূলে।’

এ টি এম বলেন, ‘নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম রাস্তাঘাট তৈরি করব। যে সমস্ত রাস্তাঘাট হয়নি প্রশাসনকে বলে করার চেষ্টা করেছি।যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৈষম্যের শিকার এবং এমপি ভুক্ত করেনি, সেগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখব ইনশাল্লাহ।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে একটি সুগার মিল রয়েছে; শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী থাকা অবস্থায় উন্নয়ন হয়েছিল, সেটি দুর্নীতিতে ঘিরে গেছে। এবং সেটি বন্ধ করা হয়েছে। নির্বাচিত হলে চেষ্টা করব আইনি কোনো সমস্যা না থাকলে চালু করার। যাতে আমার এলাকার শত শত লোকজন চাকরি করতে পারে। এখানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে কিন্তু গরিব লোকজন বেশি। আমি ইতিমধ্যে একটা হাসপাতাল করেছি যেখানে শত শত লোকজন চাকরি করছে।’

আজহারুল বলেন, ‘নির্বাচিত হলে দুই উপজেলায় (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) দুটি হাসপাতালেরও আধুনিকায়ন করা হবে। এবং যাতে ‍সবাই ঠিকমতো সেবা পায় সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। সুলভ মূল্যেও চিকিৎসা দেওয়া হবে। আমার বিজয় এমনভাবে হবে আমার ধারের কাছে কেউ আসতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।’

এসময় ৬ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার সাহাপুর মাঠে শুরু করে শোডাউনটি। এরপর বদরগঞ্জ উপজেলার সাব্বিরিজ হয়ে শ্যামপুর, নাগের হাট পদাগঞ্জ, লোয়ানী পাড়া, ওসমানপুর, ট্যাক্সেরহাট গোপীনাথপুরের বটেরহাট, লালদীঘি ধোলাইঘাট, তারাগঞ্জ, একরচালি হাড়িয়ালকুটি ও শেখেরহাট হয়ে আবারও সাহাপুর মাঠে শেষ হয়।

আমাদের সময়/আরডি