গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং : সাসটেইনেবিলিটি ২০২৬ এ ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত বৈশ্বিক মূল্যায়নে ডিআইইউ বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম, এশিয়ার মধ্যে ১১২তম এবং বিশ্বের ২০০২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৮৪তম স্থান অর্জন করেছে।
সাসটেইনেবিলিটি সূচকে ডিআইইউ-এর মোট স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৬৯.৫, যা দেশের উচ্চশিক্ষায় টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
কিউএস সাসটেইনেবিলিটি র্যাংকিয়ে মূলত তিনটি সূচকে—Environmental Impact, Social Impact এবং Governance—বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মূল্যায়ন করে থাকে।
এই সূচকগুলোতে ডিআইইউ–এর ধারাবাহিক উন্নতি প্রমাণ করে যে প্রতিষ্ঠানটি শুধু আধুনিক শিক্ষা নয়, বরং পরিবেশগত দায়িত্বশীলতা, সামাজিক প্রভাব, সুশাসন ও মানবিক মূল্যবোধের চর্চা এবং একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করছে। গবেষণা, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার, কার্বন-ফুটপ্রিন্ট হ্রাস, ডিজিটাল রূপান্তর, নারী নেতৃত্বে অগ্রগতি এবং ইন্ডাস্ট্রি–একাডেমিয়া সহযোগিতা—এসব ক্ষেত্রেই ডিআইইউ-এর বাস্তবমুখী কাজ এই মর্যাদাপূর্ণ র্যাংকিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ডিআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান এই অর্জনের জন্য ড্যাফোডিল পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নই ভবিষ্যৎ বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। সূচনালগ্ন থেকেই আমরা আমাদের শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রশাসনিক নীতিমালার প্রতিটি স্তরকে সাসটেইনেবিলিটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে গড়ে তুলেছি।
QS Sustainability Rankings–এ দেশের সেরা এবং বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এতো উঁচু অবস্থান আমাদের সেই দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গির সুস্পষ্ট প্রতিফলন। এই সাফল্য সম্মিলিত পরিশ্রম ও বিশ্বাসের ফল।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু ডিগ্রি অর্জন করুক তা নয়, বরং দায়িত্বশীল গ্লোবাল সিটিজেন হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করুক। এই স্বীকৃতি সেই লক্ষ্য পূরণের পথে আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে।’
ডিআইইউ–এর উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আর কবীর বলেন, ‘QS Sustainability Rankings–এ বাংলাদেশের শীর্ষস্থান অর্জন ডিআইইউ–এর একাডেমিক উৎকর্ষতা, গবেষণা উদ্ভাবন, ডিজিটাল রূপান্তর এবং পরিবেশবান্ধব নীতিমালার প্রতি আমাদের গভীর প্রতিশ্রুতির দৃঢ় প্রকাশ। এটি কেবল একটি র্যাংকিং নয়; বরং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।’ তিনি আরো যোগ করেন, ‘শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, অ্যালামনাই এবং কর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই সাফল্য অর্জনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। আমরা ভবিষ্যতে আরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, নতুন গবেষণা প্রকল্প এবং সাসটেইনেবল ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আমাদের অগ্রযাত্রা আরও জোরদার করব।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এই অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, গবেষক, ভিজিটিং প্রফেসর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্টাফ ও প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
তাদের অটুট বিশ্বাস, নিষ্ঠা, সৃজনশীলতা এবং কঠোর পরিশ্রমই ডিআইইউ-কে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বৈশ্বিক অঙ্গনে একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি ডিআইইউ-কে আগামী দিনে টেকসই উন্নয়ন, গবেষণায় উৎকর্ষতা, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ, কমিউনিটি ইমপ্যাক্ট, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সমন্বিত গ্লোবাল পার্টনারশিপের মাধ্যমে আরও অগ্রসর হতে অনুপ্রাণিত করবে। ডিআইইউ দেশের উচ্চশিক্ষা খাতকে আন্তর্জাতিকীকরণ এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (SDGS) বাস্তবায়নে তার নেতৃত্ব আরও শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।