বিয়ে গোপন করায় তরুণী ও কাজীর কারাদণ্ড
পূর্বের বিয়ে গোপন করে নিকাহনামায় নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ করায় তরুণী নুসরাত জাহান তাসনিম (২৬) নামের এক যুবতীর ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িত কাজী আবু মুসা আহম্মদকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেছেন। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. নাজমুল ইসলাম তালুকদার।
রায়ের আদেশে বলা হয়, আসামি নুসরাতের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪৯৫ ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ৪০৬ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করা হয়। অপর আসামি কাজী আবু মুসার বিরুদ্ধে ৪২০ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তবে তিনি পলাতক থাকায় সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ
এ ছাড়া অপর আসামি মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালে রংপুরের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এতে নুসরাত জাহান ও বিয়ের কাজী আবু মুসাসহ তিনজনকে আসামি করেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর এক লাখ টাকা দেনমোহরে নুসরাতকে বিয়ে করেন জাহিদ হাসান। এসময় নুসরাতকে অবিবাহিত (কুমারি) হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। পরে ২০১৮ সালে নুসরাতের ভাইকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর কথা বলে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। তবে তিনি এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নুসরাত তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানান।
এ বিষয়ে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ ঘরোয়া সালিশি আয়োজন করা হয়। তখন তার কাছে দেনমোহর বাবদ তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়। এরপর তিনি জানতে পারেন আগের বিয়ে গোপন রেখে তার সঙ্গে নুসরাতকে দ্বিতীয় বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অপর আসামি মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলা দায় থেকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।