রাজধানীতে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে প্রেমিক-প্রেমিকা

আদালত প্রতিবেদক
১৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১:৩১
শেয়ার :
রাজধানীতে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে প্রেমিক-প্রেমিকা

‎রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সামনে প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর থেকে রংপুরের ব্যবসায়ীর আশরাফুল হকের খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের মামলায় গ্রেপ্তার ‘প্রধান সন্দেহভাজন’ জরেজুল ইসলাম ওরফে জরেজ এবং তার পরকীয়া প্রেমিকা শমীমা আক্তার ওরফে শামীমা ওরফে কহিনুরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিন রিমান্ডের এই আদেন দেন।

‎এর আগে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৪টা দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) রমনা বিভাগ। এরপর শনিবার তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ডিবির ধানমন্ডি জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হাসান।

‎রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ভুক্তভোগীকে রংপুর থেকে ঢাকায় আনতে এবং হত্যাকাণ্ডে কে কীভাবে জড়িত তা উদ্‌ঘাটনের জন্য, আশরাফুলের কাছ থেক ইতোপূর্বে অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন কি না এবং করে থাকলে কত পরিমাণ তা জানার জন্য, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুরি/চাপাতিসহ উদ্ধারকৃত আলামত কে কীভাবে সরবরাহ করেছে তা উদ্‌ঘাটন এবং হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ/আলামত নষ্ট করা এবং মরদেহ গুম করতে কে বা কারা সহায়তা করেছে তা জানার জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থণা করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

‎রিমান্ড শুনানিকালে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তাদের কিছু বলার আছে কি না. জানতে চান বিচারক। তখন কিছু বলার নেই বলে জানান আসামিরা। পরে আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

‎বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের গেইটের কাছে দুটি নীল ড্রাম থেকে খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

‎২৬ টুকরো লাশের প্রথমে পরিচয় পাওয়া না গেলেও আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেইজ থেকে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। জানা যায়, মরদেহটি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আশরাফুল হকের।

‎এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন আশরাফুলের বোন। মামলায় জরেজুলকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত‎নামা আসামি করা হয়।

আমাদের সময়/জেআই