সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘আমাদের সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষায় সাবলীলভাবে গড়ে তুলতে হবে। মুখস্থ করে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাচ্ছে, কিন্তু কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় বেশির ভাগ ফেল করছে। আমাদের প্রকৃত শিক্ষায় শেখাতে হবে।’
শনিবার (১৫ নভেম্বর) নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উদ্বোধন ও প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে এক শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রাইমারি স্কুলের পড়াশোনার উদ্দেশ্য সব বই শেখা নয়। উদ্দেশ্য হচ্ছে, একজন শিশু যেন তার মাতৃভাষায় শিখতে পারে, মাতৃভাষায় পড়ে বুঝতে পারে এবং মাতৃভাষায় যেন তার মনের ভাবটি প্রকাশ করতে পারে। শিশুরা যেন প্রাথমিকে গণিতের সাধারণ নিয়ম যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ বুঝতে পারে। সে সাবলীলভাবে লিখতে পারে, বুঝতে পারে। শিশুকে পড়াশোনায় আগ্রহী করতে পারলে, সে নিজের উদ্যোগে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা মুখস্থ করে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাচ্ছে, কিন্তু কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় বেশির ভাগই ফেল করছে। এ কাগজের ডিগ্রীর দাম নেই। আমাদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। শিশুরা যদি প্রাথমিকে এসব অর্জন করতে পারে, তাহলে নিশ্চিতভাবে মাধ্যমিকে ভালো করবে, উচ্চশিক্ষায় ভালো করবে। জীবনে একজন সফল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘সরকার শিক্ষক নিয়োগ, ভবন নিমার্ণসহ সবকিছু করে দেয়। শুধু আপনাদের দেখভাল করতে হবে। এটা আপনাদের সম্পদ, আপনাদের জিনিস। বিদ্যালয় কেমন চলছে, বিদ্যালয়ের সম্পদ কেউ দখল করছে কিনা সব আপনাদের দায়িত্ব। শিক্ষদের সঙ্গে আপনাদের ভাল সম্পক থাকবে, তাদের আপনারা সহযোগিতা করবেন। বাচ্চারা নিয়মিত স্কুলে আসছে কিনা, তারা নিয়মিত বাসায় পড়ছে কিনা তা মনিটরিং করবেন। আমরা সকলে যৌথ চেষ্টা করি, তাহলে প্রাথমিক শিক্ষার মানের উন্নতি ঘটবে।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান প্রমুখ।