হুমায়ূন আহমেদের সব সিনেমাই পেয়েছে জাতীয় পুরস্কার

বিনোদন ডেস্ক
১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৭
শেয়ার :
হুমায়ূন আহমেদের সব সিনেমাই পেয়েছে জাতীয় পুরস্কার

প্রয়াত কথাসাহিত্যিক-চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী আজ (১৩ নভেম্বর)। লেখালেখি, টিভি নাটক কিংবা সিনেমা নির্মাণ- সবখানেই তিনি পেয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। ক্যারিয়ারে মাত্র ৮টি সিনেমা নির্মাণ করেছেন এই নির্মাতা। কাহিনী, চিত্রনাট্য, গানও লিখেছেন তিনি নিজেই। এমনকি বেশিরভাগ সিনেমার প্রযোজনাও করেছেন নিজে।

হুমায়ূন আহমেদে প্রথম সিনেমা ছিল ‘আগুনের পরশমণি’। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই সিনেমায় অভিনয় করেন আসাদুজ্জামান নূর, আবুল হায়াত ও বিপাশা হায়াত। আর প্রথম পরিচালনাতেই বাজিমাত করেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে লাভ করেন সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালনাসহ ৮টি শাখায়।

বিরতি ভেঙে ১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেন ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’। এ সিনেমাও ৭টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।

২০০০ সালে মুক্তি পায় তার ‘দুই দুয়ারী’। রিয়াজ, মাহফুজ আহমেদ ও মেহের আফরোজ শাওন অভিনীত এ সিনেমাও দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেতা ও সেরা নারী কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার পায় এটি।

২০০৩ সালে হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেন ‘চন্দ্রকথা’। আসাদুজ্জামান নূর, আহমেদ রুবেল ও শাওন অভিনীত এ সিনেমাও সমালোচকদের প্রশংসা পায়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ও বিশেষ পুরস্কার ঘরে তোলে।

২০০৪ সালে মুক্তি পায় ‘শ্যামল ছায়া’। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত তার দ্বিতীয় সিনেমা। যেখানে ‘বর্ষার প্রথম দিনে’ গানের জন্য সাবিনা ইয়াসমিন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

২০০৭ সালে ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’ ও ২০০৮ সালে ‘আমার আছে জল’ নির্মাণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। ফেরদৌস, বিদ্যা সিনহা মিম, জাহিদ হাসান ও মেহের আফরোজ শাওন অভিনীত এ সিনেমাটিও দর্শকপ্রিয় হয়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার মঞ্চে ২টি পুরস্কার লাভ করে।

২০১২ সালে মুক্তি পায় নির্মাতার সর্বশেষ ছবি ‘ঘেটুপুত্র কমলা’। হুমায়ূন আহমেদ এ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী উপলক্ষে শেষবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফেরেন। এটির জন্য সেরা পরিচালকসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

হুমায়ূন আহমেদের সব সিনেমাই লাভ করেছে জাতীয় পুরস্কার। শুধু তা-ই নয়, অস্কারে বিদেশি ভাষার সিনেমা বিভাগের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিল ‘শ্যামল ছায়া’। যদিও শেষ পর্যন্ত মূল অস্কারের জন্য সিনেমাটি মনোনীত হয়নি।  

আমাদের সময়/ এসএ