মাদ্রাসাছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক
১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:১৬
শেয়ার :
মাদ্রাসাছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

‎ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে মাদ্রাসাছাত্র তাওহীদ ইসলামকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় আসামি মকবুল হোসেনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

‎রায়ে আসামি মো. মকবুলকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। এ ছাড়া অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের একটি ধারায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।

‎রায়ে আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

‎মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার রসুলপুর জামিআ ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় নাজেরা বিভাগে পড়াশোনা করতেন ১০ বছর বয়সী তাওহীদ ইসলাম।

‎২০২৪ সালের বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সে মাদ্রাসায় যায়। রাত সাড়ে ৮টায় ক্লাস শেষে মামা মহসিনের দোকানে যায়। তবে মামাকে না পেয়ে একাই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় সে। পথে মকবুল হোসেন তাকে অপহরণ করে পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামির পছন্দ মতো জায়গায় মুক্তিপণ রেখে আসেন ভুক্তভোগীর মামা। টাকা পেয়েও আসামি শিশুটিকে ফেরত দেননি। পরে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে মকবুলকে গ্রেপ্তার করে। সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় তাওহীদের লাশ। পরদিন নিহতের মা মোসা. তাসলিমা আক্তার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় এ মামলাটি করেন।

‎দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এ কে এম সাইদুজ্জামান গত বছরের ৩১ জুলাই মকবুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

আমাদের সময়/জেআই