ত্বকের পরিচর্যায় জরুরি টোনিং

বিজ্ঞাপন

Mobile_Article-01

বাইরে বের হলে ত্বকে তেল চিটচিটে ভাবটা লেগেই থাকে। শীতের শুরুর এই সময়ে ত্বকে ধুলা-ময়লাও জমে খুব সহজে। ফলে ত্বক হয়ে পড়ে খসখসে, নিস্তেজ ও অনুজ্জ্বল। আর এসব সমস্যার সহজ সমাধান হচ্ছে স্কিন টোনিং। আপনার ত্বকে টোনিং কেন জরুরি এবং কীভাবে তা করবেন, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি। চলুন জেনে নিই-

কেন করবেন স্কিন টোনিং

স্কিন টোনিংয়ের ফলে ত্বকের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। ফলে ত্বক থাকে সজীব, উজ্জ্বল ও টানটান। এ ছাড়া টোনিং ত্বকের পুষ্টি জোগানের পাশাপাশি লোমকূপ বন্ধ রেখে ত্বকের ময়েশ্চারাইজার বজায় রাখে। তাই স্কিন টোনিং অত্যন্ত জরুরি। সাধারণত চারটি ধাপে ত্বকের পরিচর্যা করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপ হচ্ছে ক্লিনজিং। আর এর পরের ধাপ অর্থাৎ ত্বক পরিষ্কার করার পরের ধাপই হচ্ছে টোনিং। কারণ ত্বক পরিষ্কার করার পর টোনিংয়ের সাহায্যে ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করা হয়। টোনিং সবচেয়ে বেশি জরুরি তৈলাক্ত ত্বকে। কারণ তৈলাক্ত ত্বকের অয়েল গ্লান্ডগুলো বেশি সক্রিয় থাকে। এ কারণে লোমকূপের মুখও বড় থাকে। ফলে তৈলাক্ত ত্বকে ধুলা-ময়লা জমে বেশি। আর না হোক ঠাণ্ডা গোলাপ জলও ত্বক ফ্রেশ রাখে।

সারাদিনের কাজের শেষে হাত-মুখ ধোয়ার পর স্কিন টোনিং ত্বক সজীব রাখে। ত্বকের নিস্তেজ ও কান্তি দূর হয়।

আরও পড়ুন:

শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন

তুলার প্যাডে বা বলে টোনার লাগিয়ে মুখটা আলতোভাবে মুছে নিন। বিশেষ করে গালে, গলায় ও ঘাড়ে ভালো করে লাগাবেন। তৈলাক্ত ত্বকে নাকের দুপাশে থুতনি ও কপালে অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন ভালো করে লাগাবেন। উল্টাপাল্টা ঘষে টোনার লাগাবেন না। গাল থেকে তুলার বলটা ঘষে কপালের দিকে শেষ করবেন। কপালের মাঝখান থেকে ও থুতনিতে সার্কুলার মুভমেন্টে টোনার লাগান। চোখের চারপাশে টোনার না লাগানোই ভালো। তবে লাগাতে চাইলে হালকাভাবে ঘষে লাগান।

ঘরে তৈরি টোনার শসার রস সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক টোনার। এটি অ্যাসট্রিনজেন্টের কাজ করে বলে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

শসার রসে গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে, গলায়, ঘাড়ে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।