নাশকতার মামলায় আওয়ামী লীগের ৩২ নেতাকর্মী কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক
১০ নভেম্বর ২০২৫, ২২:১৯
শেয়ার :
নাশকতার মামলায় আওয়ামী লীগের ৩২ নেতাকর্মী কারাগারে

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ৩২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর পৃথক ছয় থানায় মামলায় সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার পৃথক পাঁচ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।

‎থানাগুলো হলো শ্যামপুর, গুলশান, মিরপুর, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানা। থানাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তবে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

‎আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, ‘গ্রেপ্তার সন্দিগ্ধ আসামিরা মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত। তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার সন্দিগ্ধ আসামিদের জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক হয়ে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটাবে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের জামিনের ঘোর বিরোধিতা করছি। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার সন্দিগ্ধ আসামিদেরকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’

‎কারাগারে যাওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শাহজালাল সোহেল, ছাত্রলীগকর্মী মো. ইউসুফ, মৎসজীবী লীগকর্মী তাপস সরকার, ওসমান গনি, আলতাফ হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, আজিজুর রহমান উজ্জ্বল, আদম আলী, মেহেদী হাসান রুবেল, বাদশা মিয়া, মো. পরান, সরওয়ার কামাল, আব্দুল কাদের জিলানী, মারুফ হোসেন শান্ত, তারেকুল ইসলাম শান্ত, বিজয় মজুমদার, রফিকুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, ইসমাঈল, রিফাত হোসেন, শওকত ব্যপারীসহ প্রমুখ।

‎‎এর আগে গত রোববার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

‎মামলাগুলোর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তাতারকৃত সন্দিগ্ধ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদকালে জানান যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সম্প্রতি আসামিরা হরতাল ও অবরোধ করে দেশের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও জনমনে ভয়ভীতি এবং রাষ্ট্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটানোর জন্য বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য আওয়ামী লীগের স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছেন।

‎গ্রেপ্তারকৃত সন্দিগ্ধ ও পলাতক এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা নিজেদেরকে ছাত্রলীগের কর্মী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রমূলক সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ (সংশোধনী-২০১৩) এর ৮/৯/১০/১২/১৩ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আমাদের সময়/জেআই