কোনো রাজনৈতিক দলই সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় না: নুর

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২১:০৭
শেয়ার :
কোনো রাজনৈতিক দলই সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় না: নুর

আগামী দিনে দেশের পরিবর্তনের প্রশ্নে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাফিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান পরিষ্কার হওয়ার পরই বিবেচনা করা হবে গণঅধিকার পরিষদ কোনো জোটে যাবে কি না-বলে জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের ছোট যমুনা ব্রিজ সংলগ্ন প্রধান সড়কে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘যে সময় দেশের মানুষের কথা বলা প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। সেই প্রতিকূল পরিবেশে ছাত্র-যুবক-তারুণরা পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে নতুন রাজনীতি শুরু করেছিলাম। সেই থেকে হাঁটি-হাঁটি, পা-পা করে গণ অধিকার পরিষদ আজকের এই জায়গা এসে দাঁড়িয়েছে।’

নুর বলেন, ‘দেশে আর যেন কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার না হয় সেই প্রচেষ্টার দল গণ অধিকার পরিষদ। জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী বা পুলিশ যাতে কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে নতি স্বীকার না করে। তারা যেন জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে পারে। সেই লক্ষ্যে আমরা স্বাধীন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি।’

ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলই সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় না। কারণ, তারা ভোটকেন্দ্র দখল করতে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষক করতে চায়। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী ৫ বছরের জন্য সবাই মিলেমিশে একটি ঐক্যমতের সরকার গঠনের চেষ্টায় আমরা আছি। কিন্তু আমরা চাইলেই হবে না। সব দল ও সবাই মিলেমিশে আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কোন দিকে পরিচালিত হবে, সেই ফয়সালা হবে।’

‘মাদক-সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত আগামীর সমৃদ্ধশীল দেশ গড়ার’ প্রত্যয়ে পথসভায় আরও বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক ও দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) নির্বাচনী এলকার সম্ভাব্য প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী, উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজীব, গণ অধিকার পরিষদের দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদ দিনাজপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক শোভন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ফুলবাড়ী শাখার সভাপতি মেহেদি হাসান, সাধারণ সম্পাদক রাফসান জানি ও সহ-সভাপতি নাদিম এম জিসান প্রমুখ।

আমাদের সময়/আরডি