জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মামলা নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য, বের করে দেওয়া হলো আইনজীবীকে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মামলা নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দিয়ে আদালতে তোপের মুখে পড়েছেন এ এস এম আলী হায়দার নামের এক আইনজীবী। পরে তাকে আদালত থেকে বের করে দেওয়া হয়।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর পল্টন মডেল থানাধীন বিজয় নগর এলাকা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিব হলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাঁধনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অপর ছয় আসামি হলেন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা মেজবাহুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম সাইফ, মোস্তাফিজুর রহমান জনি, যুবলীগকর্মী শেখ রাশেদুজ্জামান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকর্মী মামুন শেখ পরশ।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
ওইদিন তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সিটি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
এই মামলায় তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে আবেদন করেন ডিএমপির সিটিটিসির উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম।
বুধবার শুনানিকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে আসামি রফিকুল ইসলাম বাঁধনের আইনজীবী এ এস এম আলী হায়দার রিমান্ড বাতিলের শুনানিতে অংশ নেন।
শুনানির এক পর্যায়ে এ আইনজীবী বিচারকের উদ্দেশে বলেন,‘একটা সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার অনেক ফ্লো ছিল। এখন টাকা নিয়ে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে, অনেকের নাম কাটা হচ্ছে। একটা সময় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলাও প্রত্যাহার করা হবে।’
তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমনসহ কয়েকজন। পরে আদালতে কক্ষে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। তখন এ এস এম আলী হায়দারকে আদালত থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এরপর আদালত গ্রেপ্তার আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন:
মৌচাকের গোল্ডেন প্লাজায় অগ্নিকাণ্ড
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায় , গত ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠনের সমর্থক, অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা এবং বিভিন্ন ভাবে সহায়তাকারীদের সমর্থন, অর্থ, পরামর্শ ও নির্দেশে গ্রেপ্তার ও অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা সমবেত হন। সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণ এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত ও রাষ্ট্রের সম্পত্তি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে উদ্যোগ গ্রহন করেন। তারা পরস্পর যোগসাজশে দেশের আইন শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার জন্য এবং বড় ধরনের অঘটন ঘটানোর জন্য রাষ্ট্র বিরোধী স্লোগান প্রদান ও সমাবেশ আয়োজনের চেষ্টা করেন।
আমাদের সময়/জেআই