শ ম রেজাউল করিম ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ

আদালত প্রতিবেদক
০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:০৫
শেয়ার :
শ ম রেজাউল করিম ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ

দুর্নীতির মামলায় সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের আয়কর নথি জব্দের দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছেন।

‎মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদকের সহকারী পরিচালক তাদের আয়কর নথি জব্দ চেয়ে আবেদন করেন।

‎মামলার আবেদনে বলা হয়, শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার ৩১২/টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রেখে এবং নিজ নামে ১২টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮২হাজার ৮৩৪ টাকার মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুস ও দুর্নীতি’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তি অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে হস্তান্তর, রুপান্তর, স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করার অভিযোগ তদন্তাধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শ ম রেজাউল করিম এবং তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের আয়কর নথির স্থায়ী অংশ, বিবিধ অংশ ও অ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদন (যদি থাকে) এবং নোটসিটসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি এবং অফিস আদেশের অংশ সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।

‎অবৈধভাবে প্রায় ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে শ ম রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের বিরুদ্ধে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুটি মামলা করে দুদক।

‎মামলার এজাহারে বলা হয়, রেজাউল করিম ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৮ কোটি ৮৬ লাখ ১১ হাজার টাকা অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার নামে ১২টি ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে।

‎দ্বিতীয় মামলায় শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

‎আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে অনুসন্ধানে নামার কথা জানায় দুদক।

আমাদের সময়/জেআই