ঘরে পোষা প্রাণী থাকলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
মানুষের জীবনযাত্রায় পোষা প্রাণী শুধু সঙ্গী নয়, তারা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরও অবদান রাখে। সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘরে কুকুর, বিড়াল বা অন্যান্য পোষা প্রাণী থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে। তবে কেন এবং কীভাবে, তা জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
১. অ্যান্টিবডি উৎপাদনে সাহায্য
পোষা প্রাণীর সংস্পর্শে আসলে শরীর স্বাভাবিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। ছোটবেলা থেকে পোষা প্রাণীর সঙ্গে থাকা শিশুদের এলার্জি ও শ্বাসনালী সংক্রান্ত অসুস্থতার ঝুঁকি কম থাকে।
২. স্ট্রেস কমায়, ইমিউন সিস্টেম শক্ত করে
পোষা প্রাণীর সঙ্গে খেলাধুলা বা আলিঙ্গন করলে স্ট্রেস হরমোনের (কোর্টিসল) মাত্রা কমে। কম স্ট্রেস মানে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকে, কারণ ক্রমাগত উদ্বেগ ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে।
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
৩. শারীরিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করে
বিশেষ করে কুকুরের মতো প্রাণী থাকলে নিয়মিত হাঁটা বা খেলা হয়। ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি শরীরকে চর্চিত রাখে, সেলস মজবুত করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৪. মানসিক সুস্থতা ও সামাজিক সংযোগ
পোষা প্রাণী শুধু সুখ দেয় না, তারা এক ধরনের সামাজিক সংযোগও তৈরি করে। মানসিকভাবে স্থিতিশীল থাকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
৫. অ্যালার্জি ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
গবেষণায় দেখা গেছে, পোষা প্রাণীর সংস্পর্শে শিশুদের প্রাকৃতিক অ্যান্টিজেনের সংস্পর্শ early stage-এ হয়, যার ফলে তাদের এলার্জি কম হয়।
সতর্কতা
পোষা প্রাণীর সঙ্গে সংক্রমণ কমাতে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা ও টিকা দেওয়া জরুরি। হাত ধোয়া, খাওয়ার জিনিস আলাদা রাখা এবং পশুপাখিকে সঠিক যত্নে রাখা স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য।
** পোষা প্রাণী শুধু বন্ধু নয়, তারা আমাদের শরীর ও মনের জন্য প্রকৃত সহায়ক। সঠিক যত্ন ও পরিচর্যার সঙ্গে ঘরে পোষা প্রাণী রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, মানসিক চাপ কমে এবং জীবন আরও প্রাণবন্ত হয়।
আরও পড়ুন:
শীতে মুলা কেন খাবেন?
আমাদের সময়/ টিটিএ