কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে অনলাইন নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে: শিবির সভাপতি
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন শতাংশের মধ্যে ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম আমরা। বাকি যেসব বিশৃঙ্খলা হয়ে যায় সেজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা অনলাইন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে অনলাইন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছি এবং প্রোপাগাণ্ডা কমাতে অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাকি বিশৃঙ্খলাগুলোও থাকবে না, ইনশাআল্লাহ।’
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ আয়োজন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রশিবির অন্যায়কে কখনোই সাপোর্ট করে না। আমরা কেন্দ্র থেকে ইউনিট পর্যন্ত একটা নিয়ম অনুসরণ করি। সে নিয়মানুযায়ী আমাদের সংগঠন যে শৃঙ্খলায় পরিচালনা করা দরকার, আমরা সে শৃঙ্খলায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পরিচালনা করতে পারছি।’
নবীনবরণ প্রোগ্রামে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহা. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া এবং শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক আবু মুসা। এসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, প্রায় ১৭০০ শিক্ষার্থী নবীনবরণে অংশগ্রহণ করে এবং উপহার হিসেবে কুরআন (অমুসলিমদের জন্য বই), কলম, নোটবুক, বুকলেট, পরিচিতি, চাবির রিং, ছেলেদের জন্য টিশার্ট ও মেয়েদের জন্য হিজাব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
এ সময় কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম গণভোটের ব্যাপারে বলেন, ‘জুলাই সনদ ঐকমত্য কমিশনের অনেকগুলো সভার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। যেটি আমাদের সবারই প্রত্যাশা ছিল। আমাদের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির একটা বিষয় থাকা সত্ত্বেও আমরা যে জুলাই সনদ পেয়েছি তাতে আলহামদুলিল্লাহ। এ সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য অবশ্যই গণভোটের দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার এটিকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য গণভোট আয়োজনের একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে করা হয় কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় এক দল এসে আরেক দলের অধ্যাদেশ পরিবর্তন করে ফেলে। তাই অধ্যাদেশের থেকে গণভোটের মাধ্যমে বেশি আইনি ভিত্তি পাবে। সেজন্যই আমরা গণভোটের পক্ষে মত দিব।’
আমাদের সময়/আরডি