গণহত্যার সাফাই ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির ভয়াল রূপ
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও সাবেক ডাকসু সহসভাপতি আ স ম আবদুর রব।
সম্প্রতি বৈদেশিক গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ‘সহিংস বিদ্রোহ’ আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নাগরিক হত্যাকে ‘রাষ্ট্রের কর্তব্য’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আ স ম রব বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল এক স্বতঃস্ফূর্ত ও নিরস্ত্র গণআন্দোলন—যা জনগণের সার্বভৌম অধিকার ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। অথচ সাবেক সরকারপ্রধানের বক্তব্য শহীদদের আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করেছে এবং গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নিরস্ত্র জনগণের ওপর রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র শক্তির নির্বিচার প্রয়োগ এবং সেই হত্যাকাণ্ডকে কর্তব্য হিসেবে বৈধতা দেওয়া এক ভয়ংকর রাজনৈতিক মানসিকতা, যা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ভিত্তিমূল কাঁপিয়ে দেয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এই বক্তব্যের মাধ্যমে চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি আদালতের কার্যক্রম ব্যাহত করা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র।’
শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ‘বিচার ও ন্যায়বিচারের ধারণার প্রতি নির্মম অবমাননা’ বলে আখ্যা দিয়ে আ স ম রব বলেন, ‘জনগণের জীবনকে কেবল শৃঙ্খলা রক্ষার উপকরণ হিসেবে দেখা হয়েছে—যা রাষ্ট্রীয় মানবাধিকারের পরিপন্থী।’
বিবৃতিতে তিনি শেখ হাসিনার ওই বক্তব্য অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
আমাদের সময়/এফএম