হাসিনা-রেহানা দেশের ১১ বছরের বাজেট লুটপাট করেছে: আবুল খায়ের

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২৯ অক্টোবর ২০২৫, ২২:১৮
শেয়ার :
হাসিনা-রেহানা দেশের ১১ বছরের বাজেট লুটপাট করেছে: আবুল খায়ের

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেছেন, ১৮ বছর বাংলাদেশে একটি কালো অধ্যায় রচনা সূচিত হয়েছে। ১১ বছরের বাজেট হাসিনা এবং রেহানাসহ তাদের সন্তানেরা লুটপাট করেছে। এরপর তাদের এমপি-মন্ত্রী ও নেতারা রয়েছে। জোরজবরদস্তি করে তারা ক্ষমতায় না থাকলে দেশের এ অবস্থা থাকত না।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার খাসেরহাট বাজারে আয়োজিত বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।

আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, ‘হাসিনা ঘোষণা দিয়েছে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আপাতত ক্ষমতায় থাকবে। ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পরে আবার নির্ধারণ করবে কত বছর ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু হাসিনা সেই সুযোগ পায়নি। সময়মতো এদেশের মানুষ হাসিনাকে বিদায় করে দিয়েছে। বাংলার মানুষের রক্ত কখনো বৃথা যায়নি। ১৯৫২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যদি লক্ষ্য করি রাজপথের আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। জনগণের স্বার্থে যারা কথা বলেছেন, জনগণ যাদের সঙ্গে ছিল, দেশ এবং জনগণের জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে, তাদের রক্ত কখনো বৃথা যায়নি। হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচার প্রচলিত আইনে এদেশে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামি ফেব্রুয়ারিতে রমজানের পূর্বে দেশে একটি নির্বাচন হবে। দীর্ঘদিন থেকে আমরা যে নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছি। একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য, দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গুম-খুন থেকে দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য খালেদা জিয়া জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করেছেন। এই আন্দোলন করতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।’

উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহম্মেদ কবিরাজের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন রায়পুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জেডএম নাজমুল ইসলাম মিঠু।

জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রায়পুর পৌরসভা বিএনপির সভাপতি এ বি এম জিলানী, সাবেক সদস্য সচিব শফিকুল আলম আলমাস, রায়পুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার ফয়সাল, অ্যাড. খায়ের আলম, বিএনপি নেতা গাজী মোস্তফা কামাল, ইমাম হোসেন গাজী, আরিফ মাহমুদ কবির ও শামীম গাজী প্রমুখ।

আমাদের সময়/আরডি