গুলশানে ডাক পেলেন রাজবাড়ীর দুইটি আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ ৭ জন
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় একক প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে বিএনপি। আসনভিত্তিক পাঁচটি জরিপের পাশাপাশি সাংগঠনিক টিমের মতামতের ভিত্তিতে একটি তালিকাও এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ তালিকা ধরে চলতি মাসে একক প্রার্থী ঘোষণা দিতে চায় দলটি। তালিকায় স্থান পাওয়া সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের মতামতও নেওয়া হচ্ছে। প্রার্থী ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট আসনে যেন কোনো বিরোধ দেখা না দেয়, সেজন্য সম্ভাব্য প্রার্থী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থী এবং জেলা ও মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিভাগভিত্তিক বৈঠক করবেন। বিভাগভিত্তিক এসব বৈঠকে মহসচিবসহ স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য উপস্থিত থাকবেন। এ বৈঠকে রাজবাড়ীর দুইটি আসন থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ ৭জনকে ডেকেছেন।
তারা হলেন রাজবাড়ী-১ (সদর-গোয়ালন্দ) আসন থেকে রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি অ্যাড. মো. আসলাম মিয়া, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল আলম।
রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি,কালুখালী) আসন থেকে রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. নাসিরুল হক সাবু, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন-অর রশীদ, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড লিয়াকত আলী বাবু, বিএনপি নেতা মুজাহিদুল ইসলাম।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী-২ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. হারুন-অর রশীদ বলেন, ‘গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আমাকে ডেকেছেন। আসলে মনোনয়ন বিষয় কি না বলতে পারব না। আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজবাড়ী জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করে আসছি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি শতভাগ বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। তবে, যদি আমার চেয়ে যোগ্য কাউকে মনোনয়ন দেয়, তার পক্ষে আরো বেশি কাজ করব।’
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড মো. আসলাম মিয়া বলেন, ‘১-১১ থেকে শুরু করে অদ্যবদী জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে কাজ করে আসছি। আজ আমাকে ডেকেছেন। এখন মনোনয়নের বিষয় কি না বলতে পারব না। তবে আমার চেয়ে যদি কোনো যোগ্য লোককে দল মনোনয়ন দেয়, তার পক্ষে কাজ করব। আমি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নই।’
রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, ‘আমাদেরকে ডেকেছেন। আমরা দল করি, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। দল যোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দিবেন। এতে বিএনপির ঘাটি হিসেবে রাজবাড়ীর দুইটি সংসদীয় আসন ধানের শীষকে উপহার দিতে পারব।’
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. লিয়াকত আলী বাবু বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ৭জনকে ডেকেছেন। আমরা এখন ঢাকায় আছি। দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করব। দল যাকে মনোনয়ন দিবে, আমরা তার সঙ্গে থাকব এবং বিজয়ী করে ঘরে ফিরব।’
আমাদের সময়/আরডি