‘বাংলাদেশের জন্য তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বের বিকল্প নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ অক্টোবর ২০২৫, ২২:১৬
শেয়ার :
‘বাংলাদেশের জন্য তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বের বিকল্প নেই’

লন্ডনের বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ‘তারেক রহমান: পলিটিকস অ্যান্ড পলিসিস কনটেমপোরারি বাংলাদেশ’ নামক গ্রন্থের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বের বিকল্প নেই। ’

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক্সিটার কলেজ অডিটোরিয়ামে অক্সফোর্ড বাংলা সোসাইটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে অক্সফোর্ড ছাড়াও ব্রিটেনের অন্য ইউনিভার্সিটিকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

বইয়ের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক স্যার পিটার হিপ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব ড. শহিদুল আলম, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জহির উদ্দিন স্বপন। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষক ড. মানজিদা আহমেদ। 

ড. শহিদুল আলম বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে জনগণের অংশগ্রহণ ও জবাবদিহি—এই দুটি বিষয়কে তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

স্যার পিটার হিপ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভারসাম্য ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞা অত্যন্ত জরুরি।

বাংলাদেশ এবং বিএনপির কর্মপরিকল্পনা এবং তারেক রহমানের নীতি এবং পলিসি নিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন ও ড. শহিদুল আলম। 

 মূল প্রবন্ধে ড. মানজিদা আহামেদ বলেন, তারেক রহমানের সংস্কারমুখী নেতৃত্বই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আশা জাগানিয়া। তারেক রহমান দীর্ঘদিন নির্বাসিত অবস্থায় থেকেও দলের তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত আছেন এবং দেশের অর্থনীতি, টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা।

তিনি বলেন, তারেক রহমান প্রতিশোধের রাজনীতি পরিহার করে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সমতার সমাজ গড়তে চান—যেখানে থাকবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। তারেক রহমান ইতোমধ্যেই দেশের পুনর্গঠনের জন্য ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন, যা একটি নতুন, গণতান্ত্রিক ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপরেখা।

সম্প্রতি ব্রিটেনের ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া তারেক রহমানের বক্তব্যের উদৃতি দিয়ে ড. মানজিদা বলেন, বাংলাদেশকে অ্যামাজন, ইবে প্রভৃতি বৈশ্বিক ই-কমার্স প্লাটফর্মের হাব হিসেবে গড়ে তোলাই তারেক রহমানের লক্ষ্য।  

তিনি তার বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, বরং ন্যায়, স্বাধীনতা ও অগ্রগতিনির্ভর এক রেইনবো ন্যাশন গঠনের অঙ্গীকার।

জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে নতুন দিকনির্দেশনা।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অক্সফোর্ড বাংলা সোসাইটির সভাপতি আহমেদ মুহতাদি ও সাইমুর মুজিব রহমান। বইটি লিখেছেন আমেরিকা প্রবাসী দি উইকলি রানার সম্পাদক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন।

আমাদের সময়/জেআই