চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের পাঁচ দাবি

ঢাবি প্রতিনিধি
২৩ অক্টোবর ২০২৫, ২২:৩০
শেয়ার :
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের পাঁচ দাবি

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করা ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বিশেষ নিয়োগ দেওয়সহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে চাকরি প্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংগঠনটি এ বিক্ষোভ ও সমাবেশের আয়োজন করে।

চাকরি প্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের নেতারা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে যোগ্যতা অর্জন করেও কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হিসেবে নয়, আমরা যোগ্য নাগরিক হিসেবে কর্মক্ষেত্রে আমাদের প্রাপ্য স্থান চাই। সরকার যদি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বিশেষ নিয়োগ ও বয়সসীমা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করে, তাহলে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত হবে এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে।’

সমাবেশে চাকরি প্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাদমান আব্দুল্লাহ বলেন, ‘প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের এই পাঁচ দফা দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। তারা নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজ যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন, অথচ তাদের দাবি আজও অবহেলিত। আমরা মনে করি, সরকারি চাকরিতে তাদের জন্য আলাদা কোটা, বয়সসীমা বৃদ্ধি ও শ্রুতিলেখক নীতিমালার সংস্কার জরুরি। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্য পূরণে এসব দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদ তাদের ন্যায্য দাবির পাশে আছে এবং থাকবে।’

তাদের ৫ দফা দাবিগুলো হলো—

১. নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বিশেষ নিয়োগ প্রদান: প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুসারে বেকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রধান উপদেষ্টার-নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে এবং প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী কাজ শনাক্ত করে বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

২. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্বতন্ত্র ২ শতাংশ কোটা এবং তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা প্রিলি, লিখিত ও ভাইভায় সংরক্ষণ করতে হবে।

৩. বিদ্যমান অভিন্ন জাতীয় শ্রুতিলেখক নীতিমালা সংশোধন। যেসব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জন্মগতভাবে কিংবা পরবর্তী সময়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বা শারীরিক প্রতিবন্ধিতার কারণ স্বহস্তে লিখতে সক্ষম নয় তাদের জন্য বিদ্যমান, শ্রুতিলেখক নীতিমালায় পরিবর্তন করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শ্রুতিলেখক মনোনয়নের স্বাধীনতা দিতে হবে।

৪. সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন ব্রেইল পদ্ধতিতে পাঠদান সংক্রান্ত সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম ও পিএইচটি সেন্টার সমূহের শূন্য পদে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী চাকরি প্রত্যাশীদের বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করা: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। তবে উল্লেখ্য যে, সরকারি চাকরিতে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা যদি ৩৫ করা হয় তাহলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ৩৭ বছরে উন্নীত করতে হবে।