বিউপি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীর সাভারে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিউপি) শিক্ষার্থীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
রোববার (১৯অক্টোবর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান।
কর্মসূচীতে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য কাজী আফরোজ মৌসুমি বলেন, ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা চেয়েছিলাম আমাদের বোনেরা ক্যাম্পাসসহ দেশের সব জায়গায় নিরাপদ থাকুক। অথচ আছিয়াসহ গত এক বছরে দেশে প্রায় তিন হাজারের অধিক ধর্ষণ হয়েছে। বিইউপির যে বোন ধর্ষিত হয়েছে তার বিচার হোক। বিইউপির শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হোক।’
আহ্বায়ক সদস্য রাজু হাসান রাজন বলেন, ‘খুবই দুঃখের সাথে বলতে হয় আগস্ট পরবর্তী সময়েও আমাদের আবার গণধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। ইন্টিরিমকে বলতে চাই, 'আপনারা দেশ পরিচালনার নূন্যতম যোগ্যতা রাখেন না।' আমরা কিছুদিন আগে আমাদের বোন আছিয়া ধর্ষণের প্রতিবাদে এই শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালন করেছিলাম। এই বিচার শেষ হতে না হতে আবারও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। আমি মনে করি আছিয়ার বিচারে ইন্টিরিম ব্যর্থ হওয়ায় এ ধর্ষণের ঘটনা নিত্যদিন বেড়েই চলেছে।’
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল হোসাইন বলেন, ‘জুলাই পরবর্তী সময়ে আমরা এখনো আইনের শাসন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ নিশ্চিত করতে পারি নাই। যারই ফলশ্রুতিতে দেশে অনবরত ধর্ষনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সাভারে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার বিচার ভাই। ধর্ষণের বিচারকার্য গতিশীল করতে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। ধর্ষণের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিও আবশ্যক।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহম্মদ বাবর বলেন, ‘সাভারে বিউপি শিক্ষার্থী গণধর্ষণের প্রতিবাদে আজকের এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। গত ১৭ বছরের বিচারহীনতার কারণে দেশে ধর্ষণ ও অন্যায়-অনিয়ম অব্যাহত ছিল। জাবিতে ছাত্রলীগের মানিক ও কিছুদিন আগে মোস্তাফিজ ধর্ষণ করেছিল। জুলাই পরবর্তী সময়ে ইন্টেরিম সরকারের মাধ্যমে আমরা পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু এ সরকারও নারীদের নিরাপত্তা, ন্যায় বিচার ও আইন শৃঙ্খলা উন্নতি করতে পারেনি। আমরা চাই অনতিবিলম্বে সাভারের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।’
আমাদের সময়/আরডি
