সামান্য স্বার্থের কারণে আধিপত্যবাদের ক্রীড়াণক যেনো আমরা না হই

যশোর প্রতিনিধি
১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০:০১
শেয়ার :
সামান্য স্বার্থের কারণে আধিপত্যবাদের ক্রীড়াণক যেনো আমরা না হই

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, আমাদের বহু প্রাণ গেছে, অসংখ্য মানুষ পঙ্গু হয়েছে-তাদের রক্তের স্রোতের মাধ্যমে আমার পেয়েছি এই নতুন বাংলাদেশ। সে কারণে সামান্য স্বার্থের কারণে আবার কোনো তাবেদার, আগ্রাসী ও আধিপত্যবাদের ক্রীড়াণক যেনো আমরা না হই, সেদিকে সাংবাদিকদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। শেখ হাসিনা যেমন সাংবাদিকদের একটি অংশকে তার তাবেদার বানিয়ে রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল, আশা করি আপনারা সেই পথে হাঁটবেন না। আপনাদের সততা, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ, দেশপ্রেমই পারবে দীর্ঘসংগ্রামের ফসল গণতন্ত্রকে বিনির্মাণ করতে।

প্রেসক্লাব যশোর অডিটরিয়ামে শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের (জেইউজে) সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেইউজে সভাপতি আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের একটি অংশের সীমাহীন তোষামোদির কারণেই শেখ হাসিনা ঘৃণ্য ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিলেন। তার চারপাশে থাকা সাংবাদিকরা দেশের প্রকৃত অবস্থা কখনোই তাকে জানতে দেয়নি। বরং নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ওই সাংবাদিকরা সত্যকে চাপা দিয়ে মিথ্যার বেসাতি করে গেছেন। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের দেশের স্বার্থে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে।’

জেইউজে সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ ও সাবেক সেক্রেটারি তৌহিদ জামানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন এবং দৈনিক লোকসমাজের প্রকাশক শান্তুনু ইসলাম সুমিত।

সভায় বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস, প্রেসক্লাব যশোরের সেক্রেটারি এস এম তৌহিদুর রহমান, খুলনা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আনিসুজ্জামান, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাবেক সভাপতি নূর ইসলাম, সাবেক সেক্রেটারি আহসান কবির এবং যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান।

আমাদের সময়/আরডি