প্লট দুর্নীতির মামলা /

হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের ‎মামলায় আরও ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

আদালত প্রতিবেদক
১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:২৭
শেয়ার :
হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের ‎মামলায় আরও ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

‎পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের করা পৃথক তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিকদের বিরুদ্ধে আরও ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। 

‎‎সাক্ষীরা হলেন-ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পৌরকর শাখা অঞ্চল-১ এর উচ্চমান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক তৈয়বা রহিম, অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক রেশমা এবং রেভিনিউ সুপারভাইজার দেওয়ান মো. সাঈদ। ‎ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ মো. রবিউল আলম তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তাদের সাক্ষ্য শেষে আগামি ৩০ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।  

‎গত ৩১ জুলাই এই তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।‎ ‎এরপর গত ১৩ অগাস্ট তিন মামলার তিন বাদী, ২৮ অগাস্ট তিন জন, ৪ সেপ্টেম্বর পাঁচ জন, ২১ সেপ্টেম্বর ৩ জন এবং ৬ অক্টোবর আরও ৩ জন সাক্ষ্য দেন।‎

‎শেখ পরিবার ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন। 

‎‎প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ৬ মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

‎মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।