অমোচনীয় কালি মুছে যাচ্ছে, স্বচ্ছতা নিয়ে প্রার্থীদের শঙ্কা

রাবি প্রতিনিধি
১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩০
শেয়ার :
অমোচনীয় কালি মুছে যাচ্ছে, স্বচ্ছতা নিয়ে প্রার্থীদের শঙ্কা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটদাতাদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি সহজেই মুছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অনেক ভোটার ও প্রার্থী অভিযোগ করেন— আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছে বা খুব হালকা হয়ে পড়ছে।

সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, অনেক ভোটারের আঙুলে কালির দাগ প্রায় মুছে গেছে। কারও ক্ষেত্রে আবার তা হালকা ধূসর ছাপের মতো দেখা যাচ্ছে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন হাসান বলেন, ‘আমি সকাল ৯টার দিকে ভোট দিয়েছি। কিছু সময় পর দেখি কালিটা প্রায় উঠে গেছে। অথচ এটি তো অমোছনীয় কালি হওয়া উচিত ছিল।’

একই অভিযোগ করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী তাসনিম তানিয়া। তিনি বলেন, ‘অমোচনীয় কালি বলেই তো এটি দেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে পুরোটা হালকা হয়ে গেছে। এখন চাইলেও বোঝা যাচ্ছে না আমি ভোট দিয়েছি কি না।’

এজিএস পদপ্রার্থী জান্নাত আরা নওশিন বলেন, ‘অনেকে আমাদের অভিযোগ করেছে, অমোচনীয় কালি মুছে যাচ্ছে। এবিষয়ে আমরা একটু শঙ্কা প্রকাশ করতেছি। আমরা নির্বাচন কমিশনারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করতেছি।’

নির্বাচন কমিশনার পারভেজ আজহারুল বলেন, ‘কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কালি ঘষে তুলে ফেলে, তাহলে সেখানে আমাদের কোনো দায় নেই। কালি কিছু সময় রাখার পর স্থায়ী হয়ে যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে ঘষা দিলে উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’

ভোটারদের এই অভিযোগের সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘কালি নিয়ে এমন কথা উঠেছে যে এটি উঠে যাচ্ছে। আসলে অনেক দাম দিয়ে বাজারের সর্বোচ্চ মানের কালিই আনা হয়েছে ব্যবহারের জন্য। তবে কেউ যদি লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে ঘষাঘষি না করে একটু শুকাতে দেন, তাহলে আশা করা যায় কালি হাত থেকে উঠবে না। আমাদের রেজিস্ট্রার স্যার গতকাল কালি লাগিয়েছিলেন হাতে—আজকে তিনি যতই ঘষছেন, কালি উঠছে না। শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড ও ছবি দেখে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কালির বিষয়টি পুরো প্রক্রিয়ার অনেকগুলো ধাপের মধ্যে একটি ধাপ মাত্র। এটি বড় কোনো ইস্যু ভোটার বের হওয়ার আগে যেন আবার তা চেক করে।’

আমাদের সময়/আরআর