ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালিত
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জগন্নাথ হলের অক্টোবর স্মৃতি ভবনস্থ টিভি কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিহতদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের মর্মান্তিক ঘটনা জাতি-ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাংলাদেশকে একত্রিত করেছিল। ঐক্যের এই বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে এবং সমাজে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি নতুন হল নির্মাণ, বিভিন্ন পুরাতন ভবন সংস্কারসহ বৃহৎ একটি উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের বিভিন্ন প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে এবং ইতোমধ্যেই প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবার। সবাইকে নিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহৎ এই প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করেন। ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ সবাইকে নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও উন্নত ও আধুনিক করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল, ডাকসুর ভিপি মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), জিএস এস এম ফরহাদ, জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি পল্লব কুমার বর্মণসহ উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে।
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
দিবসটি পালন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল, হোস্টেল ও প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও হল প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিহতদের প্রতিকৃতি চিত্র ও তথ্যপ্রমাণাদি প্রদর্শন করা হয়। আজ বাদ মাগরিব বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআসহ সকল হল মসজিদে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হয়। ঐ দুর্ঘটনায় ২৬ জন ছাত্র, ১৪ জন অতিথি ও কর্মচারীসহ মোট ৪০ জন নিহত হন এবং অসংখ্য শিক্ষার্থী ও অতিথি আহত হন।