প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য চ্যাটজিপিটিতে ইরোটিক কনটেন্টের অনুমতি
ওপেনএআই ঘোষণা দিয়েছে যে তারা তাদের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ওপর আরোপিত কিছু সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের জন্য ইরোটিক কনটেন্ট তৈরির অনুমতি দেওয়া। যা প্রতিষ্ঠানটি ‘প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ করা’ নীতির অংশ হিসেবে দেখছে।
ওপেনএআই জানিয়েছে, নতুন সংস্করণের চ্যাটজিপিটি-তে ব্যবহারকারীরা তাদের এআই সহকারীকে নিজেদের মতো করে কাস্টমাইজ করতে পারবেন- যেমন আরও মানুষসদৃশ কথোপকথন, বেশি ইমোজি ব্যবহার, কিংবা বন্ধুসুলভ আচরণ যোগ করার সুযোগ থাকবে। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসবে ডিসেম্বরে, যখন কোম্পানি চালু করবে একটি পূর্ণাঙ্গ বয়স-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে শুধু যারা বয়স যাচাই করে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে নিবন্ধিত হবেন, তারাই ইরোটিক কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন।
তবে ওপেনএআই এখনো জানায়নি, বয়স যাচাইয়ের পদ্ধতি বা প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করবে।
এর আগে, ১৮ বছরের নিচের ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ চ্যাটজিপিটি সংস্করণ চালু করে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বয়স অনুযায়ী কনটেন্ট ফিল্টার করে এবং গ্রাফিক বা যৌন বিষয়বস্তু ব্লক করে দেয়।
ওপেনএআই আরও জানিয়েছে, তারা এমন একটি আচরণভিত্তিক বয়স শনাক্তকরণ প্রযুক্তি তৈরি করছে, যা ব্যবহারকারীর কথোপকথনের ধরন দেখে অনুমান করতে পারবে তিনি ১৮ বছরের নিচে না উপরে।
ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপের ফলে চ্যাটজিপিটি অনেক ব্যবহারকারীর জন্য “কম কার্যকর ও কম উপভোগ্য” হয়ে উঠেছিল- বিশেষ করে তাদের জন্য, যাদের মানসিক স্বাস্থ্যজনিত কোনো সমস্যা নেই।
এটি এমন এক সময়ের ঘোষণা, যখন বছরের শুরুর দিকে ক্যালিফোর্নিয়ার কিশোর অ্যাডাম রেইন আত্মহত্যা করে এবং তার পরিবার আগস্টে মামলা করে অভিযোগ তোলে যে চ্যাটজিপিটি তাকে আত্মহত্যার নির্দিষ্ট পদ্ধতি সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়েছিল। দুই মাস পর অল্টম্যান জানান, প্রতিষ্ঠানটি এখন গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন:
যে গ্রহে হয় বালুবৃষ্টি
এছাড়া, এআই চ্যাটবটগুলো শিশু ও কিশোরদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন ওপেনএআইসহ কয়েকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
আমাদের সময়/এআই