জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জিজ্ঞাসাবাদের নামে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে স্ত্রীসহ জুলাইযোদ্ধা বুলবুল শিকদার জুয়েলকে মারধরের অভিযোগে ফাউন্ডেশনটির ১৩ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম জুয়েল রানার আদালতে জুয়েলের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এ মামলা দায়ের করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এনি বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।'
মামলায় আসামিরা হলেন ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী, কর্মকর্তা সাগর, মেহেদী হাসান প্রিন্স, আফজালু রহমান সায়েম, সাইদুর রহমান শাহিদ, আলিফ, জাহিদ ফাতেমা আফরিন পায়েল, রেজা তানভীর, রাকিন, শামীম রেজা খান ও সোনিয়া আক্তার লুবনা।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী ও ছেলে মোটরসাইকেলে চিটাগাং রোডের মাদানীনগর মাদ্রাসার সামনে গেলে পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত জনতার ওপর গুলি ও হামলা চালায়। এতে তার স্বামী ও ছেলে গুরুতর আহত হন। তার স্বামীর হাঁটুর নিচে মারাত্মক আঘাত লাগে এবং ছেলের পা ভেঙে যায়।
৫ অগাস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের পর জুলাইয়ের বিপ্লবীদের আত্মত্যাগের মূল্যায়নের জন্য জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। সাবিনা ইয়াসমিন গত ২০ মার্চ সকাল ১১টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংলগ্ন কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর অফিসে গেলে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন ও অন্যান্য আসামিরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা কীভাবে আহত হন জানতে চান। তারা আহত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন।
পরে তাদের জানানো হয়, তাদের ছেলে সেখান থেকে এক লাখ টাকার চেক নিয়ে গেছে। বুলবুল জুলাইযোদ্ধা গেজেট নম্বর এবং মেডিকেল কেস আইডি দেখালে ইফতেখার সাগর ও মেহেদীকে ডেকে আনেন। তারা সাবিনা ইয়াসমিনকে বসিয়ে রেখে বুলবুলকে একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন। কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেলে স্বামীকে না পেয়ে ফোন দেন সাবিনা। সাগর রিসিভ করে বলেন, ‘ভুয়াযোদ্ধাকে জামাই আদর চলতেছে।’ সাগর সাবিনাকেও ভেতরে যেতে বলেন। তারা তাকেও মারধর করেন।
সাবিনার অভিযোগ, আসামিরা তাদের ‘ভুয়া জুলাইযোদ্ধা’ বলার পাশাপাশি হুমকি দেন, জোরপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন এবং তার ব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন। নির্যাতনের ফলে তার স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকেন। পরবর্তীতে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাদী হয়ে আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:
মৌচাকের গোল্ডেন প্লাজায় অগ্নিকাণ্ড