বসুন্ধরার চেয়ারম্যানসহ পরিবারের ৫ জনকে বিদেশে যেতে দেওয়ার আবেদন
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ পরিবারের পাঁচজন বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে তাদের আইনজীবীরা এ আবেদন করেন।
অনুমতি চাওয়া অন্যরা হলেন আহমেদ আকবর সোবহানের স্ত্রী আফরোজা বেগম, ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, আরেক ছেলে সাফিয়াত সোবহান সানভীর ও সাফওয়ান সোবহান।
ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ এ শুনানি গ্রহন করেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আবেদনকারীদের পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম শুনানি করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ফোরামের সদস্যসচিব নিহার হোসেন ফারুকসহ কয়েকজন বিএনপিপন্থী আইনজীবী। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আবেদনের বিরোধিতা করেন প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমি।
শুনানি শেষে আদালত দুনীতির আনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার কাছে আবেদনকারীদের বিদেশ গমনের বিষয়ে প্রতিবেদন তলব করে আগামী ২৬ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করেছেন।
এর আগে গত বছরের ২১ অক্টোবর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে ও গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ এ পরিবারের আট সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। যাদের নামে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হয় তারা হলেন- আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহে আলম, তার স্ত্রী আফরোজা বেগম, ছেলে সায়েম সোবহান আনভীর ও তার স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, আরেক ছেলে সাদাত সোবহান ও তার স্ত্রী সোনিয়া ফেরদৌস সোবহান এবং আরও দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান সানভীর ও সাফওয়ান সোবহান।
দুদকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতকে জানানো হয়, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, ভূমি জবরদখল, ঋণ জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সম্পৃক্ত ধারার অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ জন্য অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুদক। তারা দেশত্যাগের পরিকল্পনা করেছেন।
আরও পড়ুন:
মৌচাকের গোল্ডেন প্লাজায় অগ্নিকাণ্ড
এর আগে গত বছরের ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশনা দিয়েছিল।