পিআর পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশেও চালু আছে: শামীম সাঈদী
পিআর পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশেও চালু আছে বলে দাবি করেছেন প্রয়াত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ও পিরোজপুর-২ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম সাঈদী।
আজ রোববার সকালে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ ও ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।
এর আগে দলটির নেতাকর্মীরা শহরের সিও অফিস চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়।
শামীম সাঈদী বলেন, ‘১৯৯৫ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল, তখন আমাদের বন্ধু রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি তা বুঝতে পারেন নাই। কিন্তু আন্দোলন করে হরতাল অবরোধের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন আবার পিআর পদ্ধতি আমরা বুঝতে পারছি না, মানুষ বোঝে না পিআর অত্যন্ত সহজ একটি পদ্ধতি। পিআর দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশেও চালু আছে, আজকে বাংলাদেশের সংসদে নির্বাচনের পরে যে ৫০ জন নারী সংসদ সদস্যকে নেওয়া হয় ওটাও একটি পিআরের মাধ্যম। নির্বাচনে তাই আমরা পিআর পদ্ধতি চাই।’
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে যেভাবে গোটা বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তি পেয়েছিল, একই রকমভাবে পিআর চালু হলে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ছোট বড় সব মানুষই তার অধিকার ফিরে পাবে, সবাই তাদের মতের মূল্যায়ন পাবে। আমরা পাঁচটি দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলছি, খুব সহজ বিষয়, গত ১৬টি বছর ধরে আমরা আমাদের সামনে যারা সাংবাদিক বন্ধু আছেন, রাজনৈতিক বন্ধু আছেন, বৃহত্তম দল আছেন, ক্ষুদ্র দল আছেন, যারাই আছেন বিরোধীদল বলতে যারা ছিল তারা সবাই নানান ধরনের নির্যাতন মামলা, হামলা, গুম, খুনের শিকার হয়েছেন। আমরা সেই সমস্ত গুম, খুনের সুষ্ঠু বিচার চাই।’
শামীম সাঈদী বলেন, ‘গোটা বাংলাদেশের মানুষ জানে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এই পিরোজপুর থেকে দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করেছেন। যেহেতু তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন, যেহেতু তিনি কুরআনের দাওয়াত দিতেন, এই কুরআনের দাওয়াত দেওয়ার কারণে ইসলামের ছায়াতলে অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়েছিল। এই কারণে বাম নাস্তিকেরা আওয়ামী লীগেরা সহ্য করতে পারে নাই বলে তাকে ১৩টি বছর বন্দি করে রেখেছিল। ওই সময় নির্যাতন করে রিমান্ডে নিয়ে তারা ক্ষান্ত হন নাই, ফাঁসির রায়ও দিয়েছিল। আপনাদের সবার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, রাজপথে মিছিল, রক্ত এবং অনেক মানুষের জীবনের বিনিময়ে তার ফাঁসিকে কার্যকর করতে পারে নাই। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকে নাই। তারা ষড়যন্ত্র করে সুস্থ একজন মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার নাম করে অপচিকিৎসায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সেই হত্যার বিচার চাই। আমরা সব হত্যার বিচারের স্পষ্টতা দেখতে চাই, সত্যতা দেখতে চাই।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখার আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি জহিরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, জেলা সহকারী সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, জেলা পেশাজীবী শাখা সভাপতি ড. আব্দুল্লাহিল মাহমুদ, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, জেলা শিবিরের সভাপতি ইমরান হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের