নেসকোর কর্মকর্তাদের কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলার হুমকি সারজিসের

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৪৫
শেয়ার :
নেসকোর কর্মকর্তাদের কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলার হুমকি সারজিসের

দুর্নীতি ও চাঁদাবাজবিরোধী লংমার্চ শেষে পথসভায় বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের ঘটনায় নেসকোর কর্মকর্তাদের কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

গতকাল শনিবার রাতে পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরে বাংলা পার্কের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে সমাপনী পথসভায় সারজিস আলম এই হুমকি দেন। তার এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও বক্তব্য রাতেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। তার এই বক্তব্যে পঞ্চগড়ের রাজনৈতিক অঙ্গণসহ দেশব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

সারজিস আলম বলেন, ‘একবার নয়, দুবার নয়, এবার নিয়ে তিনবার এনসিপির অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎ–বিভ্রাট দেখা দেয়। নেসকোর যে মালিক তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে। এনসিপির প্রোগ্রামের সময় এটা হয় কেন? এক দিন হয়ত দুই দিন কিছু বলতাম না। কিন্তু আজ নিয়ে তিন দিনই এটা হইছে। যারা এই কাজ করেছে, তারা হচ্ছে রাজনৈতিক দেউলিয়া, তাদের আমরা দেখে নেব। তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব। এরপর দেখব পঞ্চগড়ের নেসকোর দায়িত্বে কে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, আপনারা রাজনৈতিক চাটুকার। আপনারা একেকজন রাজনৈতিক তোষামোদকারী পাচাটা। এজন্য এনসিপির প্রোগ্রামের সময় প্রত্যেকবার এইটা হয়। আমি সারজিস আলম এখানে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি, এরপর থেকে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান পঞ্চগড়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, ওই প্রতিষ্ঠান এখানে থাকবে না। এটা আমার নিজের কমিটমেন্ট।’

এর আগে শনিবার দুপুর থেকে এই লংমার্চ কর্মসূচিতে দেড় থেকে দুই হাজারের মতো মোটরসাইকেল নিয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন। এই লংমার্চ জেলার পাঁচ উপজেলা প্রদক্ষিণ করে। বিভিন্নস্থানে পথসভার পর রাতে জেলা শহরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে এই সমাপনী পথসভা আয়োজন করা হয়। এই পথসভাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতিও নেয় এনসিপি। শহরের বিভিন্ন স্থানে ৩০টির মতো মাইক লাগানো হয়।

রাতে পথসভায় সারজিস আলম বক্তব্য শুরু করলে কয়েক মিনিটের মাথায় বিদ্যুৎ চলে যায়। তবে তার বক্তব্য চলাকালীন আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। সারজিস আলমের এই বক্তব্যে পঞ্চগড়ের সর্ব মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

পঞ্চগড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এমন মন্তব্য করেছেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতা বক্তব্য দেওয়ার সময় সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। কাউকে বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে আঘাত করে বক্তব্য দেওয়া কাম্য নয়।