তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের আগেই নতুন কমিটি চান যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতাকর্মীরা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দেশে ফেরার আগেই নতুন কমিটির দাবি তুলেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্য বিএনপির বর্তমান সভাপতি এম এ মালেক এবং সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারা দেশে নিজ আসনে কাজ করছেন। দেশে নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় তারা প্রবাসে দলীয় রাজনীতিতে মনোযোগ দিতে পারছেন না। এ অবস্থায় তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগেই নতুন কমিটি চান যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা।
যুক্তরাজ্য বিএনপির বর্তমান কমিটি গঠিত হয় ২০১৯ সালে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে সেখানে একই নেতৃত্বে চলছে দলীয় কার্যক্রম। সম্প্রতি পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের সম্ভাব্য স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে যুক্তরাজ্য বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
প্রবাসে অবস্থানের সময় তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি যেমন সংগঠিত থেকেছে, তেমনি যুক্তরাজ্য শাখা দলীয় কৌশল, প্রচার ও সাংগঠনিক শক্তির অন্যতম ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এখন জাতীয় প্রয়োজনে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে হচ্ছে। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্য বিএনপির বর্তমান দুই শীর্ষ নেতা নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশমুখী হয়ে পড়েছেন। এ কারণে প্রবাসের সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি, তারেক রহমানের দেশে ফেরার আগেই যেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়, যাতে নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রবাসে দলীয় কার্যক্রম গতিশীল থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক সিলেট-২ (দক্ষিণ সুরমা-বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ) আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অপর দিকে সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ নিজ এলাকা সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর) আসনে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা দুজনেই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে চাইছেন। এই অবস্থায় প্রবাসের রাজনীতি নিয়ে তারা কতটা মনোযোগী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
এ শূন্যতা পূরণের জন্যই দলের প্রবাসী নেতাকর্মীদের অনেকেই দাবি তুলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার আগেই পাঁচ বছরের পুরোনো কমিটি ভেঙে দিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের। এতে দলের স্বাভাবিক গতি ও কার্যক্রমে বজায় থাকবে বলে তারা মনে করছেন।
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের