কোনো দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজ বিএনপির সদস্য হতে পারবে না: রিজভী
কোনো দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ বিএনপির সদস্য হতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রহুল কবির রিজভী আহমেদ।
আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে গাজীপুরের রাজবাড়ি মাঠে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও ফরম বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘নম্র-ভদ্র ব্যক্তিত্ব শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে বিএনপির সদস্য করতে হবে বলে বিএনপির নির্দেশনাতে বলা হয়েছে। বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, এই দলে অনেকে আসার সুযোগ খুঁজবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে তাকে হত্যা করে বাংদেশের উন্নয়ন গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল।পরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সংগ্রামের পর দেশ যখন নতুন করে এগিয়ে যাচ্ছিল, ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিন তার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেন। পরে দেশকে ফ্যাসিস্টের হাতে তুলে দিয়েছিল।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘গত ১৬ বছর শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরেছিলেন। ইচ্ছে করলে গণমাধ্যম সত্য প্রকাশ করতে পারত না। অনেক সাংবাদিক সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে বাইতুল মোকাররম মসজিদের সামনে টুপি বিক্রি করেছিলেন শেখ হাসিনার অত্যাচারে। শেখ হাসিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিচারের নামে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছিল। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর বিগত সরকার জুলুম অত্যাচার চালিয়েছিল। তবুও আপোষহীন নেত্রী সরকারের কাছে মাথা নত করেননি।’
তিনি আরও বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের মানুষ নতুন করে স্বাধীনতার সুফল পেতে শুরু করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করে যাওয়ার জন্য উপস্থিত সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম রনিকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘গাজীপুর একটি জনবহুল এলাকা, এখানে বিএনপির দক্ষ ও ত্যাগীদের বিএনপির সদস্য করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
শওকত হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুলসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও গাজীপুর মহানগর শাখার নেতারা।