সেতুর সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তি, সহযোগিতার আশ্বাস টুকুর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:২৬
শেয়ার :
সেতুর সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তি, সহযোগিতার আশ্বাস টুকুর

টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার চারাবাড়ি এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক পানির প্রবল স্রোতে ধসে গেছে। এতে করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে পানির প্রবল স্রোতে সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

এই সংবাদ পেয়ে আজ বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, ‘ব্রিজের সংযোগ সড়ক ধসে পড়ায় বৃহত্তর চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ সাময়িক ভোগান্তির শিকার হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে।’

স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদ নগর ও নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়ি ঘাটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০০৬ সালে ১৭০.৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করে। নির্মাণের পর থেকেই কয়েকবার পূর্ব ও পশ্চিম তীরের সড়ক ধসে যায়। সবশেষ গত বছরের ১০ জুলাইও সেতুর পশ্চিম পাশে সংযোগ সড়ক ভেঙে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু দিয়ে চরাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত। এ ছাড়া মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন অফিসে যাতায়াত করতে হয় ওই পথে। কিন্তু সড়কটি ধসে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।  

চরাঞ্চলের কৃষিপণ্য, তাঁত শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়া করতে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক, অটোভ্যান, অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে থাকে এই সেতুর ওপর দিয়ে।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আব্দুল হাই বলেন, ‘মঙ্গলবার ভোরে যাত্রী নিয়ে এসে দেখলাম ভেঙে গেছে। পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভাঙনের দৃশ্য দেখতেছি। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে আমরা গাড়ি চালাতে পারব না।’

কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুমন দেওয়ান বলেন, নদীর পানির চাপ বেড়ে পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক ও কয়েকটি বাড়িতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সেতু ভেঙে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।

সদর উপজেলার এলজিইডি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি, সদর উপজেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আজকের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।