ইসলাম ও পূজা কোনোভাবেই এক হতে পারে না: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলাম এবং পূজা কোনোভাবেই এক হতে পারে না। এটিই হলো বাস্তবতা। পূজা আলাদা, সম্পূর্ণ তাদের ধর্মীয় ব্যাপার। আর ঈদ হলো মুসলমানদের খুশির ব্যাপার। এটির সঙ্গে ওটি কখনোই এক হতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ পৌরসভা প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণসমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতির ব্যাপারে আমরা বলেছি। আমরা শেষ পর্যন্ত দাবি করতেই থাকব। তারপরেও যদি সরকার না মানে, তাহলে গণভোটের কথা আমরা বলেছি। আমরা চাচ্ছি গণভোটের মাধ্যমে সরকার আমাদের কথা আমলে নেবে। তারপর আমরা দেশের অবস্থার ওপর নির্ভর করে ব্যবস্থা নেব।’
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনেও আমরা পিআর পদ্ধতির দাবি জানিয়েছিলাম। এটি দেশের এবং মানবতার কল্যাণের জন্যে। কারণ বার বার আমরা দেখেছি, বর্তমান পদ্ধতির যে নির্বাচন তার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট চরিত্রের সরকার তৈরি হয়। এখানে কালো টাকার দৌরাত্ম তৈরির মাধ্যমে মানুষ ভোট দেওয়ার পরিবেশ পায় না। আর বেশিরভাগ ভোটারই তাদের ভোটের মূল্যায়ন পায় না। পিআর নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিটি ভোটারের মূল্যায়ন হবে। ফ্যাসিস্ট চরিত্রের সরকার তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকবে না। প্রতিটি দলের প্রতিনিধি সংসদে যাওয়ার সুযোগ পাবে।’
পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজনীয় সংস্কার ও জুলাই সনদেরর আইনিভিত্তি দেওয়া এবং অপরাধী ও খুনীদের দৃশ্যমান বিচারের দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সভাপতি মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল। সাধারণ সম্পাদক সামছুল হুদার পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন মুফতি তাজুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, মঈন উদ্দিন খান তানভির, আব্দুল মোছাব্বির রুনু, সোলায়মান গাজী প্রমুখ।
সমাবেশে হবিগঞ্জের ৪টি আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। প্রার্থীরা হচ্ছেন হবিগঞ্জ-১ মুফতি তাজুল ইসলাম, হবিগঞ্জ-২ মুফতি শেখ হাদিসুর রহমান, হবিগঞ্জ-৩ মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল, হবিগঞ্জ-৪ কামাল উদ্দিন। সমাবেশের আগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।