লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন নাকচ
সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের পর এবার মহানগর দায়রা জজ আদালতও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় আজ রবিবার ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন এই আদেশ দেন।
আসামি পক্ষে আইনজীবী তাহমিনা তাহেরিন মুন জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
এর আগে, গত ২৯ আগস্ট এ মামলায় সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান (কার্জন), মো. আব্দুল্লাহ আল আমিনসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না, কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
মামলায় বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের লক্ষ্যে গত ৫ অগাস্ট "মঞ্চ ৭১" নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগনকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেগুনবাগিচায় বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর মধ্যেই একদল ব্যক্তি হট্টগোল করে স্লোগান দিয়ে সভায় ঢুকে পড়েন।
একপর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানস্থলের দরজা বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে লাঞ্ছিতও করেন। হট্টগোলকারীরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং আলোচনায় অংশ নেওয়াদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে অতিথিদের অনেককেই বের করে দেওয়া হলেও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন এসআই আমিরুল ইসলাম।
