অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে বিপদ!

লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৭
শেয়ার :
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে বিপদ!

শরীর সুস্থ রাখতে অন্যতম অপরিহার্য উপাদান হলো প্রোটিন। পেশির গঠনে ও হাড় মজবুত, ত্বক ও চুলের পুষ্টির জন্য এটি একান্ত প্রয়োজনীয়। শুধু তাই নয়, ওজন কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এ কারণে অনেকেই ডায়েটে বেশি করে মাছ-মাংস ডিম রাখেন। কেউবা আবার রাখেন দুধ, বাদাম, পনির, ঘি-মাখন প্রভৃতি। কেননা এসব খাবার থেকেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন মেলে।

তবে বেশি প্রোটিন গ্রহণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর-এমনটাই বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, প্রোটিনের মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শরীরে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব দেখা দিতে পারে। 

গবেষণা বলছে, শরীরে প্রতি কিলোগ্রাম ওজনে এক গ্রাম প্রোটিনের দরকার হয়। কিন্তু তা কার্বোহাইড্রেটস বা প্রয়োজনীয় ফ্যাটের তুলনায় বেশি হয়ে গেলে তাকে ‘প্রোটিন পয়জনিং’ বলা হয়। 

শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক প্রোটিনের আধিক্য? আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক-

বাড়বে মুড স্যুইং, অবসাদগ্রস্ততা

শরীরে প্রোটিনের আধিক্য হলে নেগেটিভিটি, মুড স্যুইংয়ের মতো সমস্যা বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মতো প্রোটিনের মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণের ফলে অবসাদ ও দুশ্চিন্তাও বাড়ে। ব্রেনে সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। যার জন্য সঠিক মাত্রায় প্রোটিন নিতে পরামর্শ চিকিৎসকদের।

কার্বোহাইড্রেটকে উপেক্ষা নয়

ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট একেবারে ছেঁটে ফেলা উচিত নয় বলেই মত চিকিৎসকদের। প্রোটিনের আধিক্য ও কার্বোহাইড্রেটের অনুপস্থিতির ফলে শরীরে কেটোসিস পর্যায় লক্ষ্য করা যায়। শরীরে সঞ্চিত কার্বোহাইড্রেট ক্ষয় হতে থাকে। এ সময় এনার্জি সংগ্রহে ফ্যাট বার্ন হতে থাকে। যার ফলে মুখ ও শরীর থেকে দুর্গন্ধের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।

পর্যাপ্ত পানির দরকার

শরীর সুস্থ রাখতে শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক থাকা দরকার। কিন্তু অধিক মাত্রায় প্রোটিন গ্রহণের ফলে ডিহাইড্রেশনসহ হজমের সমস্যাও দেখা যায়। যার ফলে মূত্রের সঙ্গে শরীর থেকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বেরিয়ে যায়।

হার্টের জন্যও বিপদ

হার্ট ভালো রাখতে প্রোটিন প্রয়োজনীয়। যদিও এর মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণ হার্টের পক্ষেও বিপদ ডেকে আনতে পারে। ডিম ও দুগ্ধজাত বিভিন্ন দ্রব্যের মধ্যে ফ্যাট থাকায় তা শরীরে ফ্যাটের পরিমাণও বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয়, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই নিয়ম মেনে প্রোটিন গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।