ঘুরতে যাওয়ার আগে ঝটপট তৈরি
দুর্গা পূজা মানেই তো নতুন পোশাক, ভিন্নসাজ। মন্ডপে ঘোরাঘুরি । তাই সাজ- পোশাকে সচেতন থাকতে হবে যেন গরমে যেন সব ঠিকঠাক থাকে। কেননা সুন্দর ছবিও যে তুলতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে ছবি তুলে সেটা পোস্ট না করলে যেন উৎসবে পূর্ণতাই আসে না। তবে সব সময় যে রেডি হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায় না। অনেক সময় অফিস থেকে যেতে হয় আবার অনেক সময় সময়ের স্বল্পতা আর তাড়াহুড়োও থাকে। সে ক্ষেত্রে সাজটা হওয়া চাই যেন দেখতে ন্যাচারাল লাগে, আবার মেকআপ করা হয়েছে একটু এমনও মনে হয়। তাই স্বল্প সময়ে ঝটপট কী করে তৈরি হয়ে নেওয়া যায়, তাই নিয়েই পরামর্শ দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ ও জারা’স বিউটি লাউঞ্জের সিইও ফারহানা রুমি।
সারাদিন নানা কাজের ব্যস্ততার পর যদি পূজা ম-পে যেতে চান, কিন্তু সাজার জন্য হাতে সময়ও তেমন নাই, তাহলে অল্প সময়েই করে নিতে হবে মেকআপ। কিভাবে? রূপ বিশেষজ্ঞ ফারহানা রুমি বলেন, ‘পূজার কয়েকদিনই সাজগোজের একটা ব্যাপার থাকবেই। অনেক সময় অন্য কাজের ঝামেলা থাকে, এ ক্ষেত্রে চটজলদি নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়। অল্প কিছু মেকআপ সামগ্রী সঙ্গে রাখলেই কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তবে যাই করুন না কেন, বাইরে থেকে ফিরে মেকআপ না তুলে শোয়ার চিন্তাও করবেন না, কারণ পুরো দিনের ধকল গিয়েছে ত্বকে।’
চটজলদি মেকআপ লুক নেওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গে কিছু জিনিস থাকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখন অবেশ্য বেশিরভাগ মানুষই সঙ্গে করে কিছু প্রয়োজনীয় মেকআপ সামগ্রী নিয়েই বের হয় বলে ততটা চিন্তার কিছু থাকে না। ঝটপট মেকআপের জন্য ব্যাগে নিজের ফেসওয়াশ, পছন্দের রঙের লিপস্টিক, কাজল, ফেস পাউডার, বিবি ক্রিম, ব্লাসন ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী। এগুলো যে শুধু কোনো পার্টির আগেই কাজে দেয় তা না বরং কাজ শেষে বের হওয়ার আগে হালকা টাচআপ করে নিয়েও এই উপকরণগুলো লাগে।
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
চটজলদি মেকআপ লুক নেওয়ার জন্য প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। কেননা সারাদিন কাজের চাপে দিনের শুরুতে করা মেকআপ খুব একটা ঠিক থাকে তাও নয়। তার ওপর সারাদিনের কাজের চাপ, রাস্তার ধুলো-ময়লা তো থাকেই। ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নেওয়ার পর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলেই ত্বক তৈরি হয়ে যাবে মেকআপের জন্য। নো-মেকআপ লুক ক্রিয়েট করার জন্য বিবি ক্রিম খুব কাজে দেয়। একটি প্রাইমার ব্যবহার করে তার ওপর বিবি ক্রিম বা সিসি ক্রিম লাগিয়ে সুন্দর করে ব্লেন্ড করে নিতেই মেকআপে হালকা বেস তৈরি হয়। তার পর দিতে হবে হালকা ফেস পাউডার। এতেই বেস হয়ে যাবে। যেহেতু হাইলাইটারের ব্যবহার এখন বেশ জনপ্রিয় তাই ব্লাসনের ওপর, ভ্রু বোন, গাল ও থুতনির ওপর হাইলাইটার দিলেই হাল্কা বেইজে গর্জিয়াস লুক চলে আসবে।
এবার আসে ঠোঁটের পালা। ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক দিতে পারেন, যেহেতু অনুষ্ঠান তাই ঠোঁটে একটু গাড় রঙ আপনার অফিস পোশাকের সঙ্গে গর্জিয়াস লুক দেবে। লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপবাম দিয়ে নিতে পারেন। এতে ঠোঁটে বেশ অনেকক্ষণ স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
চোখের সাজ নিয়ে অনেকেরই ঝামেলা হয়। তাই আইশ্যাডোর ঝামেলায় না গিয়ে সিলভার কিংবা গোলডেন আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। ভ্রু প্লাগ করা না থাকলে চট করে একটা ওমরে স্টাইলে আই ভ্রু পেন্সিল দিয়ে দুটির আকৃতি যাতে ঠিক থাকে সেটি লক্ষ্য রেখে ভ্রুটা এঁকে ফেলতে পারেন চট করেই। এর পর সবশেষে মাশকারা ব্যবহার করবেন। তবে সব থেকে সহজ সমাধান কাজল। এই তো হয়ে গেল ঝটপট মকআপ। এবার বাকি কেবল চুল। চুলের স্টাইলের ক্ষেত্রে বলতে হয়, চুলে খুব বেশি স্ট্রেইটনার বা কার্লার ব্যবহার না করাই ভালো। চুল যেমনই থাকুক ভালোমতো আঁচড়ে নিতে হবে প্রথমেই। তার পর চাইলে ছেড়েও রাখতে পারেন আবার তা না হলে বেঁধেও নিতে পারেন পছন্দমতো স্টাইলে। বেঁধে রাখতে চাইলে ব্রেইড কিংবা পনিটেইল করতে পারেন। তা ছাড়া ছেড়ে রাখতে চাইলে সামনে বেণি করে ফেলতে পারেন। এই তো হয়ে গেল ঝটপট রেডি হওয়া। এই স্টেপগুলো ধরে আপনি সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন নিজেকে।
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন