খাগড়াছড়িতে অস্থিরতা, ডাকসুর উদ্বেগ প্রকাশ

ঢাবি প্রতিনিধি
০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৬
শেয়ার :
খাগড়াছড়িতে অস্থিরতা, ডাকসুর উদ্বেগ প্রকাশ

খাগড়াছড়িতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে সৃষ্টি হওয়া অস্থিরতা ও সংঘাতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।

আজ বুধবার ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এসএম ফরহাদের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, খাগড়াছড়ির ঘটনার পর পুলিশ শয়ন শীল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার সময় তাকে বাজারের দোকানে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। এছাড়া মেডিকেল বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক জয়া চাকমার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং ধর্ষণের প্রমাণও মেলেনি। প্রতিবেদনে পরীক্ষার সব সূচক ‘স্বাভাবিক’ দেখানো হয়েছে।

এমন পরস্পরবিরোধী তথ্যের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। ডাকসু জানায়, যদি ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হয়, তবে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে, যদি এটি সাজানো বা পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়ে থাকে, তবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিবৃতিতে ডাকসু আরও জানায়, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অবরোধ, অ্যাম্বুলেন্সে হামলা, দোকান ভাঙচুর, লুটপাট, ঘরবাড়ি পোড়ানো, পর্যটক হয়রানি এবং জাতিগত সংঘাত উসকে দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। সাম্প্রতিক সহিংসতায় আথুই মারমা, আথ্রাউ মারমা ও তৈইচিং মারমা নামের তিনজন নাগরিক নিহত এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। ডাকসু এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে।

ডাকসু দাবি করেছে, হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে তারা বলেছে, ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগকে আইনানুগ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সমাধান না করে সেটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা এবং জাতিগত সংঘাতে রূপ দেওয়ার প্রবণতা সমীচীন নয়।

ডাকসু অভিযোগ করেছে, প্রশাসনের ব্যর্থতা ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর উসকানি মিলেই পার্বত্য অঞ্চলে অস্থিরতা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এতে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও বাঙালিসহ সাধারণ জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ন্যায়বিচারের পথ ব্যাহত হচ্ছে।