বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় ইবির ২ শিক্ষক

ইবি সংবাদদাতা
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:০৬
শেয়ার :
বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় ইবির ২ শিক্ষক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষক বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির মেটা রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টার (মেট্রিকস) এর গবেষক জন পি.এ. ইয়োনিডিস গবেষণা প্রকাশনার ওপর ভিত্তি করে সম্প্রতি এলসেভিয়ার জার্নালে এ তালিকা প্রকাশ করেন।

তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষকরা হলেন ইবির বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এবং কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গবেষকদের প্রকাশনা সংখ্যা, সাইটেশন, এইচ-ইনডেক্সসহ বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণ করে ২২টি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র ও ১৭৪টি উপক্ষেত্রের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি হয়েছে। এখানে গবেষকদের শ্রেষ্ঠত্ব দুই ধাপে নির্ধারণ করা হয়। সেগুলো হলো পুরো পেশাগত জীবনের অবদান এবং এক বছরের গবেষণা কার্যক্রম।

গুগল স্কলারের তথ্যমতে, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সাইটেশন সংখ্যা ৩ হাজার ৮৬ এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমানের সাইটেশন সংখ্যা ২ হাজার ৩৩৪।

এ অর্জন প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে এ স্বীকৃতি পাওয়া তার জন্য যেমন আনন্দের, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগীয় গৌরবের বিষয়ও বটে।’ তিনি এটিকে সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন।

ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘স্ট্যানফোর্ড ও এলসেভিয়ার প্রকাশিত এ স্বীকৃতি শুধু তার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের জন্যও একটি বড় সম্মান। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পরিবার, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতেও গবেষণায় নিয়োজিত থেকে দেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরও উজ্জ্বলভাবে উপস্থাপন করব।’

প্রসঙ্গত, স্ট্যানফোর্ড–এলসেভিয়ার প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি মানদণ্ড, যা গবেষকদের দীর্ঘমেয়াদি একাডেমিক অবদান ও উদ্ধৃতি প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। এলসেভিয়ার প্রতিবছর দুই হাজারের বেশি জার্নাল প্রকাশ করে, যেখানে বছরে আড়াই লাখেরও বেশি নিবন্ধ এবং আর্কাইভে প্রায় ৭০ লাখ প্রকাশনা সংরক্ষিত রয়েছে।