ইসলামী আন্দোলন হাসিনাকে স্থায়িত্ব দিয়েছিল: এ্যানি
১৭ বছর ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন শেখ হাসিনাকে স্থায়িত্ব দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। আজ সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপি দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা আউটার স্টেডিয়ামে এ আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন,‘১৭ বছর ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন হাসিনাকে স্থায়িত্ব দিয়েছিল। এমন কোনো দালালি পাখা মার্কার ছিল না যে তারা এ বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে নাই। ২০১৪, ১৮ ও ২৪ এর নির্বাচনে হাসিনাকে সহযোগিতা করে হাসিনার স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই চরমোনাই পীর, এই ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, এই পাখা মার্কা ছিল বাংলাদেশের মানুষের আরেকটি জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত। চরমোনাই পীর বলে, পীর নয় ভণ্ড।’
এ্যানি বলেন, ‘তারা আজকে নির্বাচনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করছে, ১৭ বছর আমরা যখন লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি, তখনতো আমরা এই পাখা মার্কাকে পাইনি। আজকে ইসলামি দলগুলো থ্রেট দেখায়, মিছিল করেন, মিটিং করেন, বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান, নির্বাচনী পরিবেশকে বিঘ্নিত করেন। এই পরিবেশ থেকে বাহির হতে হলে ঐক্যই হলো শুক্তি। সুদৃঢ় ঐক্য যেটা জিয়াউর রহমান বারবার বলার চেষ্টা করেছেন, ইস্পাত কঠিন ঐক্য দৃঢ় ঐক্য। এই ঐক্য জিয়াউর রহমানের ডুপ্লিকেট তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
জামায়াতের সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াত ইসলামের ভূমিকা এবং তারা ৮৬ ও ৯৬ সালে বিভিন্নভাবে শুধু আমাদেরকে অসহযোগিতা করে নাই, পুরো জাতিকে অসহযোগিতা করেছে। হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তাদের সঙ্গে থেকে জাতীয় বেঈমান হিসেবে, আত্মস্বীকৃত বেঈমান হিসবে তারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করার মধ্য দিয়ে আমরা একটা জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার নিয়ে আসতে পারি। যেখানে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট রয়েছে। নিচের কক্ষে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা থাকবেন এবং উচ্চ কক্ষে যারা নির্বাচিত হতে পারবেন না, শ্রেণিভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সেই উচ্চ কক্ষে যখন বসবে তখন এটা একটা সমঝোতামূলক অথবা ঐক্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার গঠন করা যেতে পারে।’
সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইসমাইল জবি উল্যাহ। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া। সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ এমরান ও সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান হারুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপিসহ আরও অনেকে।