জুবিনের মৃত্যু, যা বলছে ডেথ সার্টিফিকেট
চিরঘুমের দেশে ‘ইয়া আলি’খ্যাত গায়ক জুবিন গার্গ। সম্প্রতি নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করার উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গেল শুক্রবার সকালে সমুদ্রে স্কুবা ডাইভিং করার সময় হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২ বছর। স্থানীয় পুলিশ দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
এদিকে, গায়কের এমন আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না অনুরাগী থেকে সংগীতপ্রেমীরাও। এই পরিস্থিতিতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
আজ সোমবার সিঙ্গাপুর থেকে জুবিনের ডেথ সার্টিফিকেট, অর্থাৎ মৃত্যুর শংসাপত্র আসামে এসে পৌঁছেছে। যেখানে সমুদ্রে ডুবে গায়কের মৃত্যুর কথা উল্লেখ রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে সংশয়ের নিরসন ঘটেনি, এজন্য অভ্যন্তরীণ তদন্তও চলবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
স্ত্রীর কবরের পাশে পরীর নানা সমাহিত
স্থানীয় গণমাধ্যমে বিশ্বশর্মা বলেন, ‘এটা তো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নয়। এটা মৃত্যুর শংসাপত্র মাত্র। আমরা এসব তথ্য সিআইডিকে দিয়েছি। সিঙ্গাপুর থেকে দ্রুত যাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমাদের হাতে আসে, তার জন্য মুখ্যসচিব সর্বদা সেখানকার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’
এর আগে, আসামের মুখ্যমন্ত্রী গায়কের মৃত্যুর জন্য সিঙ্গাপুরের অনুষ্ঠান আয়োজক এবং জুবিনের গাইডের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন। এ নিয়ে আলাদা করে তদন্তেরও দাবি জানান।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
জুবিনের মৃত্যুর পর তার বহুদিনের ছায়াসঙ্গী ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা ও নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজক শ্যামকানু মোহান্তার বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে ম্যানেজার সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গ।
বলা দরকার, একাধিক ভাষায় গান গাইতে পারতেন জুবিন গার্গ। অসমিয়া, বাংলা, হিন্দি শুধু নয়, নেপালি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, মারাঠি, ওড়িয়া, ইংরেজিসহ মোট ৪০টিরও বেশি ভাষা ও উপভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। তার সবচেয়ে স্মরণীয় হিন্দি গান ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমার ‘ইয়া আলি’, যা সংগীতপ্রেমীদের কাছে আজও সমান জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট