পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী

রাবি প্রতিনিধি
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৭
শেয়ার :
পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তারা প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) পুনর্বহাল এবং শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে তারা জানিয়েছেন।

এর আগে গতকাল শনিবার পোষ্য কোটাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে রাতেই শিক্ষক ও কর্মকর্তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ তারা কর্মবিরতিতে নেমেছেন।

এতে অংশ নিয়ে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘এ ঘটনাটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এটি পোষ্য কোটা নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কারও সুযোগ কেটে নিচ্ছি না। শুধু চাকরিজীবীদের সন্তানদের জন্য ন্যূনতম সুবিধা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তারা স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় থাকবে। যদি মেধার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ হয়, তবে সর্বোচ্চ ১-২ জন প্রতি বিভাগে সুযোগ পেতে পারে। ৩০-৪০ বছর চাকরি করার পর এ সামান্য সুবিধা পাওয়া প্রাপ্য।’

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই শিক্ষক লাঞ্ছনার মতো ঘটনা ঘটেছে। তারা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি কোনো পোষ্য কোটা নয়। দেশে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নেই। যদি এটি বাতিল করতে হয়, তবে সারা দেশের সব প্রতিষ্ঠান থেকেই এই সুবিধা প্রত্যাহার করতে হবে।’

অবস্থান কর্মসূচিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টাররোল বিষয়ক সমন্বয়ক মামুন তালুকদার বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী বা কর্মকর্তা-কর্মচারী যেই হোক না কেন—অপরাধীদের আমরা অপরাধী হিসেবেই দেখি। তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’