বাকৃ‌বি হেলথ কেয়ার থে‌কে চি‌কিৎসা নেওয়ার পর শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর

বাকৃ‌বি প্রতি‌নি‌ধি
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:৫৮
শেয়ার :
বাকৃ‌বি হেলথ কেয়ার থে‌কে চি‌কিৎসা নেওয়ার পর শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) হেলথ কেয়ার সেন্টার থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন মো. মারুফবিল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী।

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পর তিনি হেলথ কেয়ার সেন্টার থেকে চিকিৎসা নেন। এরপর থেকে অবস্থা খারাপ হলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি আছেন।

ওই শিক্ষার্থীর রুমমেট মো. আল আমিন ব‌লেন, ‘মারুফবিল্লাহ সকাল থেকে সামান্য মাথা ব্যথা ও পেট ব্যথায় ভুগছিলেন। এরপর দুপুর ১২টার দিকে বমিও করেন। ফলে দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে বমি ও গ্যাস নিরসনের কথা ব‌লে ইন‌জেকশন দেন।’

আল আমিন আরও বলেন, ‘পরবর্তী হলে ফেরার পর তার অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। প্রচণ্ড খিঁচুনির সঙ্গে একাধিকবার বমিও শুরু হয়। খিঁচুনির অবস্থা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে মনে হচ্ছিল তার হাত-পা ভেঙে যাবে।’

এ বিষয়ে বাকৃবি হেলথ কেয়ার সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. পার্থ সেন ব‌লেন, ‘প্রত্যেক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। কারও ক্ষেত্রে কম, কারও ক্ষেত্রে বেশি হতে পারে। তা নির্ভর করে ব্যক্তির জেনেটিক্স এবং শারীরিক অবস্থার ওপর। শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেও এসব কারণে হতে পারে। তবে আতঙ্কের কিছু নেই।’

বাকৃবি হেলথ কেয়ার সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. শরীফা আক্তার বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী যখন আমাদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসে, তখন তার বন্ধুরা বলেছিল, সে কোনো কিছু খেয়ে হজম করতে পারছে না। সেই কারণে তাকে বমি নিয়ন্ত্রণের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী বমির পর দেহে পানিশূন্যতা এবং আতঙ্কিত থাকার কারণে সেই জটিলতা হতে পারে। তবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো কমতি নেই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আবু তারেক ব‌লেন, ‘এখানে কর্মরত কোনো চিকিৎসকই শিক্ষার্থীদের শত্রু নন। আমরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ওই শিক্ষার্থীর জটিলতা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং শারীরিক দুর্বলতার কারণে হতে পারে। তার কষ্ট হচ্ছিল বলেই ইনজেকশনটি দেওয়া হয়েছে।’

ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে সেবা নেওয়ার পর অসুস্থতা আরও বেড়ে যাওয়া কখনও কাম্য নয়। বর্তমানে হেলথ কেয়ারের মানোন্নয়নের জন্য আরও ১০ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার কাজ চলছে। আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলছি। পরবর্তীতে আমাদের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’