জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

জবি প্রতিনিধি
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৫৩
শেয়ার :
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও প্রত্যাশার পর অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে।

ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সম্ভাব্য নির্বাচন। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৮ অক্টোবর থেকে নির্বাচন কমিশন গঠন ও কার্যক্রম শুরু হবে। সেদিন ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর ধাপে ধাপে তফসিল ঘোষণা, ভোটার তালিকা প্রস্তুত, মনোনয়ন জমা ও যাচাই–বাছাইসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। সবশেষে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হবে।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কবে থেকে কার্যকর হবে, তা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে; ক্যাফেটেরিয়ার ভর্তুকি প্রদান করে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে, জকসু ছাড়াও বৃত্তি ও ক্যাফেটেরিয়ার বিষয়ে প্রশাসন থেকে বিবৃতি দিলেও তা মানতে নারাজ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

প্রশাসনের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনকারী ছাত্র শাহিন মিয়া বলেন, ‘প্রশাসনের বিবৃতিতে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। কারা এ সুবিধা পাবে, কতজন শিক্ষার্থী পাবে এবং কত টাকা দেওয়া হবে সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা নেই। একইভাবে ক্যাফেটেরিয়া সম্পর্কেও কোনো পরিষ্কার সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তাই আমরা এই বিবৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেছি। তবে তৃতীয় দফা সুস্পষ্ট করলে আজ রাতে অনশন প্রত্যাহার করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেসকল দাবি জানিয়েছিল আমরা তা নির্দিষ্ট করে লিখিতভাবে মেনে নিয়েছি। আগামী ২৭ নভেম্বর নির্বাচন হবে। সকল বিষয়ই পরিষ্কার। আমি নিজে তাদের কাছে গেছি। অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করেছি কিন্তু তারা ভাঙেনি। আমি আর কি করতে পারি?’