অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ফেরত নেওয়া হয়েছে: জাকসু নির্বাচন কমিশনার

জাবি প্রতিনিধি
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:০০
শেয়ার :
অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ফেরত নেওয়া হয়েছে: জাকসু নির্বাচন কমিশনার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে আবাসিক হলগুলোতে ভোট গ্রহণের জন্য পাঠানো অতিরিক্ত, অব্যবহৃত ও নষ্ট ব্যালট পেপার নির্বাচন শেষে ফেরত নেওয়া হয়েছে এবং তার সকল হিসাব নির্বাচন কমিশনের কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম। আজ বুধবার তিনি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘প্রত্যেকটি হলেই কিছু অতিরিক্ত ব্যালট পেপার প্রদান করা হয়েছে। এর কারণ যতজন ভোটার ঠিক ততটি ব্যালট ছাপানোর যায় না। ছাপাতে হলে বান্ডিল অনুসারে ছাপাতে হয়। অর্থাৎ কোনো হলে ৩৮০ জন ভোটার থাকলে সেখানে ৩৮০ টি ব্যালট ছাপানো যায় না। এখানে ৪০০ টি ছাপিয়ে বান্ডিল পুরো করতে হয়। এছাড়া অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানোর আরেকটি কারণ কোনো ভোটার বা নির্বাচনী কর্মকর্তার অসতর্কতার কারণে ব্যালট পেপার নষ্ট হলে যাতে পুনরায় একটি প্রদান করা যায়।

অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে ফেরত আসা প্রত্যেকটি অব্যবহৃত ও অতিরিক্ত ব্যালট পেপারের তালিকা রয়েছে। সেগুলো ট্রাংকে তালাবদ্ধ করে রেখে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক হলের রিটানিং অফিসাররা ভোটগ্রহণ শেষে সকল কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ব্যালট পেপারগুলো সিল করে আইনি নিরাপত্তা সহকারে নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিয়েছেন।’

একই কথা বলছেন আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের রিটানিং কর্মকর্তা সহযোগী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিনই ভোট শেষে অব্যবহৃত ও অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ট্রাংকে তালাবদ্ধ করে নির্বাচন কমিশনে হস্তান্তর করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বক্স সিল করা থেকে শুরু করে ব্যবহৃত-অব্যবহৃত সকল সরঞ্জাম নির্দিষ্ট গাড়িতে তোলা পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, পোলিং এজেন্ট ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এমনকি ছাত্র প্রতিনিধি ও পোলিং এজেন্টদের পাহারাসহ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সরঞ্জামাদি কমিশনে পৌঁছানো হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনের শেষ সময়ে তিনজন শিক্ষক বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে মনিটরিং সেলের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। তাদের একজন অভিযোগ করেছিলেন যে অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো হয়েছে।