সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদের ১২ দফা ইশতেহার

রাবি প্রতিনিধি
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৪১
শেয়ার :
সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদের ১২ দফা ইশতেহার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ১২ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার পাঠ করেন রাকসুর প্রথম নারী ভিপি প্রার্থী তাসিন খান।

তাদের ইশতেহারে জায়গা পেয়েছে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান, রিসার্চ অ্যান্ড ইম্প্যাক্ট দপ্তর সৃষ্টি ও ফুড এন্ড পাবলিক হেলথ্ মনিটরিং গ্রুপ তৈরিসহ ১২টি বিষয়।

তাদের ইশতেহারে ১২ দফা হলো, শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে অন্তত ১০ বছর মেয়াদি একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে বাধ্য করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রিসার্চ এন্ড ইমপ্যাক্ট দপ্তর চালু করতে এবং এর মাধ্যমে বার্ষিক স্বচ্ছ রিপোর্ট প্রকাশ করতে বাধ্য করা; নির্বাচিত হওয়ার প্রথম ২ মাসের মধ্যে এক ট্যাপেই পরিশোধ করা যায় এমন সমাধানে যাওয়া; কার্যকর ও শক্তিশালী অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং তাদের সহায়তায় হলের খাবারে ভর্তুকি ও নতুন হল নির্মাণের তহবিল গঠন করা; নির্বাচিত হওয়ার প্রথম মাসের মধ্যে রাকসু নির্বাচনকে স্থায়ীভাবে ক্যালেন্ডারে যুক্ত করা ও সিনেট কার্যকর করে এর মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগের জন্য চাপ প্রয়োগ করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীদের ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইইবি) অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ফুড এন্ড পাবলিক হেলথ মনিটরিং গ্রুপ’ তৈরি করা; সবার জন্য ইন্সটিটিউশনাল মেইলের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য করা হবে; মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সরকারি ও রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা হবে; আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমিউনিটি ফোরাম গড়ার নীতি ও বাস্তবায়নের দাবি তোলা হবে; অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ব্যবস্থাকে শিক্ষার্থী নির্ভর করার প্রস্তাব দেওয়া হবে, পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি বাস্তবায়নের ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে তাসিন খান বলেন, ‘রাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমরা যতটুকু ক্ষমতা পাব, সেই অনুযায়ী আমরা আমদের ইশতেহার সাজিয়েছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার একবারে গোড়া থেকে কাজ করতে চাই।’

অন্যান্য প্যানেলের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ক্লাসচলাকালীন সময়ে প্রচারণা চালানোর কোনো নিয়ম নেই। অনেকেই প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে প্রশাসন এখনো এর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা দেখতে পাচ্ছি রাজনৈতিক দলগুলো অনেকে মিলে প্রচারণা চালাচ্ছে। সেখানে আমরা মাত্র ১৯-২০ জন। তারা বিভিন্ন উপঢৌকন বা ফিস্টের আয়োজন করছে। এই জায়গাগুলোতে আমরা যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি তাদের তাল মেলানো কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে ও অসমতার দেখা দিচ্ছে।’