বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেলেন না সুবর্ণা মোস্তফা
চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়েও পাননি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রধান প্রকৌশলী আরিফ মোস্তফার মেয়ে সুবর্ণা মোস্তফা। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজ আবেদনটি নাকচ করেন।
এর আগে সুবর্ণা মোস্তফার পক্ষে ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমী বিদেশ গমনের বিরোধিতা করেন। পরে আদালত আবেদনটি নাকচ করে দেন।
গত ১৫ মে আরিফ মোস্তফা, তার স্ত্রী তাহেরা মোস্তফা, মেয়ে সুবর্ণা মোস্তফা ও ছেলে তাইফ মোস্তফার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন একই আদালত।
আজ সুবর্ণা মোস্তফার পক্ষে ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন শুনানিতে বলেন,‘সুবর্ণা মোস্তফার বাবা আরিফ মোস্তফার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তিনি পরিবারসহ আলাদা থাকেন। দুদক যেসব অভিযোগের কথা বলেছে, এর সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তার তিনটি সন্তান রয়েছে। অভিযোগকারীরা এ মামলায় মিথ্যা ও অন্যায়ভাবে তাকে যুক্ত করেছে। তিনি লিভারের টিউমার, তলপেটের টিউমার, হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে নেওয়া প্রয়োজন। আপনার কাছে ন্যায় বিচার চাচ্ছি।’
শুনানিতে দুদক প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমী বিদেশ গমনের বিরোধিতা করে বলেন,‘আরিফ মোস্তফার বিরুদ্ধে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী তাহেরা মোস্তফার নামে খুলনার বিভিন্ন মৌজায় শতশত বিঘা জমি কিনেছেন। খুলনা শহরে একাধিক বাড়ি করেছেন, বিভিন্ন কোম্পানিতে শতশত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে শেয়ার কিনেছেন। কোম্পানির মাধ্যমে নিজ কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডারে অংশ নিয়ে অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাজ বাগিয়ে নিয়ে শতশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন।’
তিনি আরও বলেন,‘আরিফ মোস্তফা খুলনা শহরে ষষ্ঠ তলা বাড়ি, গুলশান-২ ও ধানমন্ডিতে একাধিক ফ্ল্যাট, নিজ এলাকায় ৫০ বিঘা জমি, স্ত্রীর নামে খুলনায় ১০০ বিঘা জমি, স্ত্রী ও ভাই-বোনদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র ও এফডিআর কিনেছেন। এ ছাড়া বিপুল স্বর্ণ কেনাসহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এসব অবৈধ সম্পদ অর্জনের সঙ্গে তার পরিবারও যুক্ত রয়েছে। তার মেয়ে বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি